নিজস্ব প্রতিবেদক
শহরের নিতাইগঞ্জ ও সূতাপাড়ার গরুর খাদ্য বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে খাদ্যে ভেজাল, ওজন কমসহ কৃত্রিম সংকট তৈরির অভিযোগ উঠেছে। একই সাথে অতিরিক্ত দামে গো খাদ্য বিক্রি করা হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে গরু খামারীরা।
রবিতা ফার্মের খামারী রবিতা রানী অভিযোগে বলেন, শহরের ৩৮ নম্বর বাশাল সুতার পাড়া ও নিতাইগঞ্জের যে সব দোকানে পাইকারি ও খুচরা ভাবে গো খাদ্য বিক্রি করছে তারা সবাই একই অবস্থায় বিরাজমান। এই এলাকার প্রতিষ্ঠান গুলোতে গো খাদ্য অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। তারা ৯০০ টাকার খাদ্য ১৪৬০ টাকা নিচ্ছে। তাদের বিক্রিত গো খাবারের বস্তার গায়ে ওজনের কোন লেভেল নেই। ওজন কম কেন বিক্রেতাদের জানালে তারা গোডাউনে নিয়ে গিয়ে স্কেলের মাধ্যমে ওজন মেপে দেন। কিন্তু ফার্মে নিয়ে আসিলে ওজন কম হয়। তারা ইচ্ছে করে ডিজিটাল ওজন মাপার মেশিন ব্যবহার করে না। একই সাথে দোকানিরা বাজার দরের চেয়ে অতিরিক্ত দামে গো খাদ্য বিক্রি করার জন্য সেন্ডিকেট করে রাখেন।
এই গরু খামারী আরও বলেন, লবন থেকে শুরু করে সব পন্য, হোটেল, বেকারী, কনফেশনারী, সুপার শপ, ফলের দোকান, মিষ্টির দোকান বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিানে প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করছেন। অথচ গো খাদ্যে ভেজালসহ নানা অনিয়ম হচ্ছে প্রশাসন এ দিকে নজর দিচ্ছেন না। তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে সারা দেশের গো খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। গো খাদ্যে ভেজাল নিয়ন্ত্রন করা না হলে ডেইরী ফার্মের খামারীরা আরও ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে জানান তিনি।
খামারিরা বলছেন, গরুর খাদ্য নিয়ে নিতাইগঞ্জ ও সূতার পাড়া এলাকার যেসব প্রতিষ্ঠান গুলো বস্তার সঠিক ওজনে বিক্রি করে না। পঁচা ও ভেজাল খাদ্য সরবরাহ করে দ্বিগুন দামে বিক্রি করে কালো ব্যবসা করছে। যারা এ ধরনের কালো ব্যবসা করে তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ। গরুর খামারীরা গো খাদ্যে যেসব পাইকারী ভাবে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে। ওজনে কম দিচ্ছে ও ভেজাল খাদ্য বিক্রি করছে সেসব কালো ব্যবসাীদের বিরুদ্ধে ভ্রামামান আদালত অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা গ্রহনে দাবি জানান খামারিরা।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা তাহেরা ববি জানান, যারা খাদ্যে ভেজাল করে প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর। একই সাথে গরুরু খাদ্যে যারা ভেজাল করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।