নিজস্ব প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে ষ্টেশনে রাতের অন্ধকারে প্রকাশ্যে হিজড়া ছিনতাইকারীরা বিকট রুপ ধারন করছে। রেলওয়ে ষ্টেশনে যাত্রীদের সাথে থাকা মালামাল লুটে নিচ্ছে। জিআরপি পুলিশ সামনে দাঁড়িয়ে থেকেও কিছুই না দেখার ভান ধরে আসছে। নারায়ণগঞ্জের রেল ষ্টেশনের স্টেশন মাষ্টারের রুমের পিছনে প্রতিনিয়ত এ ধরনের হিজড়া ছিনতাইকারী বিভিন্নভাবে ছিনতাই করে বলে অভিযোগ করেন রেল ষ্টেশনে আসা ঢাকাগামী যাত্রী ও পথচারীরা।
গতকাল বিকালে সরজমিনে নাম প্রকাশ করতে অনিছুক রেল ষ্টেশনের কয়েক জন কর্মচারী সংবাদচর্চার এ প্রতিবেদকে জানান, রাতের বেলা হিজরা বেশধারী রেল ষ্টেশনের ষ্টেশন মাষ্টারের রুমের পূর্বদিকে বিভিন্ন সাধারন মানুষের সাথে বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক র্কাযক্রম করার চেষ্টা করে থাকে। হিজরা বেশধারীরা বিভিন্ন উপায়ে মানুষকে হয়রানী করে টাকা আদায় করে। নারায়ণগঞ্জ রেল ষ্টেশনের ঢাকা গামী যাত্রী জহিরুল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়িক কাজে রাত ১০ টা ৫০ মিনিটে এবং ১১ টা ১৫ মিনিটের ট্রেনে আমাকে যাতায়াত করতে হয়। এ সময় রেল ষ্টেশনের ভিতরে অনেক আতংকে থাকি। ষ্টেশনে থাকা হিজড়াদের ভয়ে চায়ের দোকানে বসে থাকি। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ রেল ষ্টেশনের ভিতরে থাকা বেশ কয়েকজন পথচারী জানায়, পূর্বপাশ থেকে রেল ষ্টেশনের ভিতরে প্রবেশ করতে হলে হিজড়াদের সামনে পড়তে হয়। তারা বিভিন্ন অসামাজিক প্রস্তাব দেয়। শারীরিক দৃষ্টি কটু আচরন করে। এর কারনে আমরা পরিবার নিয়ে ষ্টেশনের ভিতর দিয়ে যাতায়াত করতে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়।
মাছ ব্যবসায়ী শফি মিয়া বলেন, রেল ষ্টেশনে রাতে একা পেলে সাথে থাকা টাকা ও মোবাইল সব কিছু কেড়ে নেয়। হিজড়াদের হাতে আমাদের জান মালের নিরাপত্তা নেই। পুলিশ প্রশাসন এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় না।
অভিযোগের ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ ষ্টেশন মাষ্টার গোলাম মোস্তফা জানান, জিআরপি পুলিশ ও নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের অবহেলার কারণেই নারায়ণগঞ্জ রেল ষ্টেশন এর বাহিরে ও ভিতরে নানা অপরাধীরা অবস্থান করতে পারছে। আমি খুবই আশ্চর্য হই তখন যখন দেখি আমার অফিসের পিছনেও হিজড়া বেশধারী অপরাধীরা অবস্থান করে। সাধারণ মানুষদের লুট করে। জিআরপি পুলিশ ও কর্তব্যরত থানা পুলিশকে একাধিকবার বলার পরও তারা কোন যুগোপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারায় আমাদের ষ্টেশনের আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে।