আজ রবিবার, ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

না.গঞ্জে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ভরাডুরি

না.গঞ্জে জাতীয়

নবকুমার: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের ৫ টি সংসদীয় আসনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সমর্থিত প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের একটি আসনেও বিজয়ী হতে পারে নি বিএনপি। প্রত্যেকটি আসনে বিশাল ভোটের ব্যবধানে হেরেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা।

নারায়ণগঞ্জ ১ আসনে (রূপগঞ্জ) বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী দেয় জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান কে। তিনি আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজীর কাছে বিশাল ভোটরে ব্যবধানে হেরেছেন।

নারায়ণগঞ্জ ২ (আড়াইহাজার) আসনে বিএনপি নেতৃত্বধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী দেয় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ কে।তিনি আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুর কাছে বিশাল ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন। ভোট কারচুপির অভিযোগে আজাদ পুনরায় নির্বাচন দাবি জানিয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ ৩ আসনে ( সোনারগাঁ) বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী দেয় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আজাহারুল ইসলাম মান্নান কে। তিনি আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সমর্থিত জাতীয় পার্টির লিয়াকত হোসেন খোকার কাছে বিশাল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন। তবে তিনি ভোট বর্জন করেছেন।

নারায়ণগঞ্জ ৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী দেয়
জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মনির হোসাইন কাশেমী কে। তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম ওসমানের কাছে বিশাল ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন।

নারায়ণগঞ্জ ৫ (সদর-বন্দর) আসনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী দেয় নাগরিক ঐক্যের এস.এম আকরাম কে। তিনি মহাজোটের প্রার্থী সেলিম ওসমানের কাছে হেরেছেন।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের ভরাডুরির কারণ বিচার- বিশ্লেষণ করে জানা গেছে বিএনপির কোন্দলই পরাজয়ের মূল কারণ। বিএনপির বাইরে অন্য দলের যে প্রার্থীরা ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়াই করেছেন তাদের কে তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীরা মেনে নিতে পারেন নাই। তারা ছিলো অপরিচিত। জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সাথে মামলার ভয়ে আতাত করেছেন। বেশির ভাগ বিএনপির সিনিয়র নেতারা তাদের কর্মী সমর্থক দের নিয়ে ভোট কেন্দ্রে যান নাই। কেন্দ্র পাহাড়া দেন নাই। তাছাড়া একাধিক বিএনপির প্রার্থী ভোট কারচুপির অভিযোগ করেছেন।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ