আজ শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ধলেশ্বরীর গর্ভে নিমকির দোকান

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

সদর উপজেলার ডিক্রিরচর অটোস্ট্যান্ডের পাশেই ছিলো নিমকি পিঠার একটি দোকান। একরাতের মধ্যেই ধলেশ্বরী নদীতে বিলিন হয়ে যায়, মানিক নামের ঐ লোকের দোকানটি। বর্ষার পানি বাড়তে থাকায় ঝুঁকিতে রয়েছে এই ষ্ট্যান্ড এলাকার বেশ কয়েকটি দোকান ও রাস্তা। ঝুঁকিপূর্ন হওয়ায় দোকানীরা তাদের দোকানে ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ধলেশ্বরী নদীর ঐ তীরে সদর উপজেলার ডিক্রিরচর গ্রাম অবস্থিত। এপাড়ে অটোষ্ট্যান্ড। যেখান থেকে শহরমুখী মানুষ বিভিন্ন বাহনে করে শহরের দিকে আসে। অটোচালক ও স্থানীয়দের চাহিদার কথা চিন্তা করে চা-পান, হালকা নাস্তার দোকান গড়ে উঠেছিলো সেখানে। বিগত শুকনো মৌসুমে ব্যবসা পরিচালনা করলেও বর্ষা মৌসুমে পানি বাড়তে থাকার কারনে দোকান বন্ধ করে দিয়েছেন নিজ উদ্যোগে। নদীগর্ভে দোকান বিলিন হওয়া নিয়ে আশঙ্কা করছেন তারা।

এ এলাকার অটো চালকার বলেন, গত বেশ কয়েক বছর ধরে এ ঘাটে অটো চালায়। এর আগে এতো পানি বাড়তে দেখিনি। সাপ্তাহ খানেক আগে রাতে নিমকি পিঠার দোকনটি দেখে গেছি। সকালে এসে দেখি দোকান নেই। ভাঙ্গা কিছু অংশ নদীতে পরে আছে। বাকী যে দোকানগুলো আছে সেগুলা ভাঙ্গন ঝুঁকিতে।

জানা যায়, শীতলক্ষ্যার বিপদসীমা হচ্ছে ৫.৫০ মিটার। গত ২১ জুলাই নদীর পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপরে রেকর্ড করা হয়েছে। বন্যা পুর্ভাবাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, ২২ জুলাই সকাল ৬টায় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সুমিরপাড়া এলাকায় শীতলক্ষ্যার পানি ছিল ৫.৬০ দাগে (এমপিডবিøউডি) ছিল। সন্ধ্যা ৬টায় শীতলক্ষ্যার পানি ছিল ৫.৫০ দাগে নেমেছে। এখনো একই অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি ধলেশ্বরী নদী ও শীতলক্ষ্যা নদীর সংযোগস্থল নারায়ণগঞ্জের পাশ্ববর্তি মুন্সিগঞ্জের মোক্তারপুর থেকে বিভক্ত হয়েছে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ