সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
নারায়ণগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর দ্বার খুলছে যেকোন সময়। চলতি ফেব্রুয়ারী মাসের শেষের দিকে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর সেতুটি উন্মোক্ত করে দেয়া হবে। শুধুমাত্র মন্ত্রনালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে শীতলক্ষ্যা নদীর উপর নির্মিত দ্বিতীয় কাচঁপুর সেতুর উদ্ভোধনের তারিখ। আর এ সেতুর উদ্ভোধনের পরপরই পুরাতন সেতুর সংস্কার কাজ শুরু করা হবে। দ্বিতীয় সেতুটির উদ্ভোধন করা হলেই সিলেটের সঙ্গে ঢাকায় প্রবেশ করতে ব্যবহার করা হবে উড়াল সড়ক। তবে সে উড়াল সড়কের কাজ এখানো শেষ হয়নি। তার আগেই মূল সেতু উদ্ভোধন করা হবে কিনা সে অনুমোদনের জন্য প্রকল্প পরিচালক আবু সালেহ মো: নুরুজ্জামান সেতু মন্ত্রনালয়ে চিঠি প্রেরণ করেছেন বলে জানা যায়। আর সেতুটি চালু হলেই পাল্টে যাবে ঢাকা-চট্টগ্রামের দক্ষিণ অঞ্চলের দৃশ্য। যানজটের প্রহর আর গুনতে হবে না যাত্রীদের। অল্প সময়ে রাজধানী ঢাকাসহ যেকোন জায়গায় যাতায়াত করা যাবে এমনটাই জানালেন সংশ্লিষ্টরা।
নারয়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর দ্বিতীয় সেতুটি চালু হলে কাঁচপুর থেকে মেঘনা পর্যন্ত যানজট অনেকটাই কমে যাবে। সোনারগাঁ, কুমিল্লা ও চট্টগ্রামসহ দক্ষিণ অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষের দীর্ঘ দিনের যানজটের লাঘব হবে। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের সময় কমে আসবে।
শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর প্রথম কাঁচপুর সেতু নির্মাণ করা হয় ১৯৭৭ সালে। বর্তমানে সেতুটি যানবাহনের চাপ, কাঠামোগত অবক্ষয় ও সেতুর পিলার হুমকির মুখে পড়ে। সেতুটি পুরোনো হওয়ার পরও এ সেতু দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করে। এ কারণে সেতুটির ওপর ও দুই পাশে সব সময়ই যানজটে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে মানুষ। তাই সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় জাপানি উন্নয়ন সংস্থা জাইকা ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে কাঁচপুর দ্বিতীয় সেতু, মেঘনা দ্বিতীয় সেতু ও মেঘনা গোমতী দ্বিতীয় সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করে। এরমধ্যে কাঁচপুর দ্বিতীয় সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। ইতিমধ্যে এই সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজও শেষ। শুধু সেতুর পূর্ব প্রান্তের কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ডের পাশে উড়ালসেতুর কাজ এখনো চলছে। সেতুটির ঢাকা প্রান্তে রয়েছে ৩৫০ মিটার এবং চট্টগ্রাম প্রান্তে রয়েছে ৯০০ মিটার সংযোগ সড়ক।
যাত্রী ও যান চালকরা জানান, সেতুটি খুলে দিলে কাঁচপুরে কোনো যানজট থাকবে না। মানুষের দুর্ভোগ কমবে। আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব সেতুটি চলাচলের জন্য উন্মোক্ত করে দেয়া হয়।
কাঁচপুর দ্বিতীয় সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মোকলেসুর রহমান জানান, সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে সেতুটিকে দ্রুত উদ্বোধন করা হবে। সেতুটি চালু হলে যানজট অনেকাংশে কমে যাবে।