আজ বৃহস্পতিবার, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দ্বন্দ্বে আটকা রূপগঞ্জ থানা বিএনপির কমিটি

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি ও সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদের দ্বন্দ্বে আটকে আছে রূপগঞ্জ থানা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি। এছাড়া কমিটি আটকে থাকার পেছনে রূপগঞ্জের এক প্রভাবশালী নেতার হস্তক্ষেপ রয়েছে। তার অপছন্দের ব্যক্তিকে কমিটির বড় পদে নাম প্রস্তাব করা তিনি ক্ষিপ্ত।

গতকাল এ তথ্য জানিয়েছে রূপগঞ্জ থানা বিএনপির প্রথম সারির এক নেতা। আরেকটি সুত্রে সংবাদচর্চাকে জানিয়েছে , ১০১ সদস্য বিশিষ্ট রূপগঞ্জ থানা বিএনপির কমিটি প্রস্তুত করা হয়েছে। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে শরীফ আহমেদ টুটুলের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। টুটুলকে এই পদ না দেওয়ার পক্ষে হুমায়ুন,বাচ্চু। বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী চাচ্ছে টুটুলকে। এ নিয়ে নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব, গ্রুপিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

পূণাঙ্গ কমিটি করার জন্য ৪৫ দিন সময় দিয়েছিলো জেলা বিএনপি। রূপগঞ্জ থানা বিএনপির আহবায়ক এড. মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন ও সদস্য সচিব বাছির উদ্দিন বাচ্চু কমিটি গঠনে ব্যর্থ। তারা দুইজনই আবার রূপগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি,সেক্রেটারী হচ্ছেন। জেলা বিএনপি জেলার ১০ টির মধ্যে ৫ টি ইউনিটের কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। রূপগঞ্জ আটকে আছে। তা নিয়ে দলের ভেতরে -বাইরে অনেক কথা হচ্ছে।

একাধিক নেতা জানান, রূপগঞ্জে ক্ষমতাসীন দলের দাপট অনেক। এখানে রাজনীতি করা কঠিন। সব দলেই দ্বন্দ্ব থাকে। আবার সব ঠিক হয়ে যায়। ত্যাগী নেতাকর্মীরাই থানা বিএনপির কমিটিতে থাকবে। কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে কিছু পছন্দ,অপছন্দ থাকে। আমাদের ক্ষেত্রেও সেটা হচ্ছে।

এদিকে রূপগঞ্জে বিএনপির একটি অংশের বিরুদ্ধে লাশ নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ রয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিকে হত্যাকান্ড বলে তারা অপপ্রচার করছে। এনিয়ে বিএনপির মধ্যেও গ্রুপিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিএনপির একটি পক্ষ বলছে ছেলেটা সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে এটা সত্য। রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার জন্য তারা হত্যা বলে প্রচার করে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ