আজ শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দাম কামানোর দাবীতে ‘আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী’র মানববন্ধন

নারায়ণগঞ্জ জেলাকে বিশেষ শ্রেণিতে উন্নীত সহ গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের দাম কমানোর জন্য মানববন্ধন করেছে আমরা ‘নারায়ণগঞ্জবাসী’ সংগঠন। বুধবার সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব ভবনের সামনে ওই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে সংগঠনের সহ-সম্পাদক মাহমুদ হোসেনের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর উদ্দিন আহমেদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সর্ব জনাব আব্দুল কুদ্দুস আজাদ, মো. আনোয়ার হোসেন দেওয়ান, মো. সেলিম হোসেন, ওহাহিদ সাদাত বাবু, মো. হালিম বেপারী, গোলাম রসুল রফিক, মো. আবুল সরদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জুলু, মো. জহিরুল ইসলাম মিন্টু, মো. আলমগীর হোসেন, মো. দোলোয়ার হোসেন দেলু, উত্তম কুমার পান্ডু, মো. আল-আমিন, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. মোক্তর হোসেন (ফটো সাংবাদিক), ওয়াসিক আল আজাদ অপূর্ব, বিপুল হোসেন শুক্কুর, হাজী মো. কাইয়ুম নবাব, মো. নূর হোসেন, খ.ম. সুলতান, মো. ইকবাল শেখ, মাহাবুবুল আলম রিপন, মো. জামাল উদ্দিন খাঁন, মো. ওহিদুর রহমান মাস্টার প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, সাধারণ মানুষের উপর যে বর্ধিত গ্যাসের বোঝা দেয়া হয়েছে তা অনতিলম্বে প্রত্যাহার করে নেয়া হোক। বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করার যে পায়তারা করছেন, সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে আগামী ২ বছর যাতে, বিদ্যুতের দাম বাড়ানো না হয় সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। তা না হলে সাধারণ মানুষ যখন রাস্তায় বেড়িয়ে পরবে, তখন তাদের সামলে রাখতে পারবেন না। তাই আগেভাগেই সতর্ক হোন।

বক্তারা বলেন, সারা শহর ব্যাপী যানজট । কয়েকদিন পূর্বে চাষাঢ়ায় পুলিশ ফাঁড়ি ও ডাক বাংলোর যে দেয়াল টি ছিলো, তা প্রায় ১০ ফুট সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তার জন্য আমরা জেলা প্রশাসক ও এসপি মহদয়কে অভিনন্দন জানিয়েছি, কিন্তু যে হাড়ে যানজট বাড়ছে তা সুধু ১০ ফুট সরালে হবে না। আরও কিছু সরাতে হবে মনে হচ্ছে । তা না হলে পরিপূর্ন যানজন নিরসন করা সম্ভব হবে না।

বক্তারা আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জে একটি কেন্দ্রীয় রেলস্টেশন আছে। এই রেল স্টেস থেকে ঢাকার কমলা পুর রেলস্টেশনে দিনে ১৬ বার ট্রেন যায়, আবার আসে। এই আসা যাওয়ার সময় শহবরর ১ নম্বর রেল গেট, ২ নম্বর রেলগেট, নন্দিপাড়া, গলাচিপা, বালুর মাঠ ও চাষাঢ়া রেলগেট এই ছয়টি স্থানে বেরিয়াল ফেলতে হয়। এই ৬ জায়গায় যদি ৫ নিনিট করে সময় ধরি আর এই সময়ে যে যানজট সৃষ্টি হয় তা দেখাযায় পুরো পুরি নিরসন হবার আগেই আরও একটি ট্রেন চলে আসার সময় হয়ে যায়। এই কারণে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরা দাবি জানিাচ্ছি এই নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশনটি চাষাঢ়ায় স্থানান্তর করা হোক ।

রেল চলাচলের জন্য ১ নম্বরগেট থেকে চাষাঢ়া পর্যন্ত যে জাগাটি আছে তা সড়ক উন্নয়ের জন্য ব্যবহার করতে হবে। এবং বঙ্গবন্ধু সড়কে মত করে প্রস্স্থ করা হলে এই যানজটের বেশির ভাগ কমে আসবে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ