আজ শুক্রবার, ২১শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তারাবো পৌরসভার জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ


রূপগঞ্জ(নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা:
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভার জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সেচ থাল থেকে এসকেভেটর দিয়ে বর্জ্য তোলা হচ্ছে। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চলছে এ কাজ। কেউ হাতে কোদালে কাজ করছে কেউ বা ময়লা আবর্জনা দূরে নিয়ে যাচ্ছেন। খালের কচুরিপানা, পলিথিন, ময়লা, আবর্জনা পরিস্কার করা এখন নিত্যদিনের কাজ। গত এক সপ্তাহ ধরে এ কাজ চলছে। পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও জলাবদ্ধতা নিরসনে অগ্রনী ভূমিকা রাখছেন। সমাপ্ত হতে সময় লাগবে কিছুদিন। যতদিন জলাবদ্ধতা নিরসন না হবে- ততদিন এ কাজ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বশীল লোকজন। তারাবো পৌরসভার মেয়র হাসিনা গাজীর পাশাপাশি সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এসকল কাজ করছেন। তারাবো পৌরসভার মেয়র হাসিনা গাজী দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতা নিরসনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এক সঙ্গে ৬টি সেচ পাম্প চালু থাকলেও কিছুতেই জলাবদ্ধতা নিরসন করা যাচ্ছিল না। শুধুমাত্র নারায়ণগঞ্জ-নরসিংদী সেচ প্রকল্প ব্লক-১ ও অগ্রণী সেচ প্রকল্পের অপরিকল্পিত সেচ খাল নির্মাণ করায় এ জলাবদ্ধতা স্থায়ী রূপ নেয়। এছাড়া সেচ খাল গুলো ভরাট হয়ে যাওয়া, দীর্ঘদিন খালের সংস্কার কাজ না করায় ও শিল্প কারখানার বর্জ্যে সেচ খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
তারাবো পৌরসভার ১০/১২ টি গ্রামের মানুষ স্থায়ী জলাবদ্ধতায় সারা বছর দুর্ভোগের শিকার হয়ে আসছে। কেউ কেউ পচাঁ ও দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে চলাচল করতে গিয়ে চর্ম রোগ সহ জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। জলাবদ্ধতায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দীর্ঘদিনের স্থায়ী জলাবদ্ধতা নিরসনে সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে বিপুল পরিমান অর্থ বরাদ্দ করেছেন। যতদিন পর্যন্ত তারাবো পৌরবাসী জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি না পাবে ততদিন পর্যন্ত এ প্রকল্পের কাজ অব্যাহত থাকবে।
সেচ খালগুলো সংস্কার করে পুনরউজ্জীবিত করতেই রূপগঞ্জের কর্ণগোপ, বরপা, শান্তিনগর, কাহিনা, গন্ধর্বপূর ও রূপসীতে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ ও খাল খননের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। এর আগেও তারাবো পৌর মেয়র হাসিনা গাজী জলাবদ্ধতা দূর করতে কয়েকটি পয়েন্টে শক্তিশালী বৈদ্যুতিক পাম্পে সেচ প্রদান করেন। তাতে নি¤œাঞ্চলের পানি নিস্কাসন করা যাচ্ছিল না। খালের সংস্কার কাজ সম্পন্ন হলেই জলাবদ্ধতা নিরসন সহজ হবে বলে এলাকাবাসী মনে করেন। জলাবদ্ধতা নিরসনে ৪৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে রূপসী স্লুইসগেইট থেকে রূপসী আলিয়া মাদ্রাসা হয়ে কাহিনা ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তা ও পানি নিস্কাসনের উন্নয়ণ কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।
তারাবো পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম মনির বলেন, তারাবো পৌরসভা বাস্তবায়নের পর এই প্রথম জলাবদ্ধতা নিরসনের সুপরিকল্পিত উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
সেচ খাল সংস্কার ও অবৈধ দখলদারীদের উচ্ছেদ কাজের তদারককারী আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ¦ হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, সাধারণ মানুষের দূর্ভোগের কথা চিন্তা করে সংসদ সদস্য নিজেই জলাবদ্ধতা নিরসনে মাঠে নেমেছেন। তারাবো পৌরসভার মেয়র হাসিনা গাজীর উদ্যোগের পাশাপাশি সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত তহবিলের অর্থায়ন অবশ্যই জলাবদ্ধতা নিরসনের উদ্যোগ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আগামী ২/৩ মাসের মধ্যেই তারাবো পৌরবাসী এ কাজের সুফল ভোগ করবেন।
তারাবো পৌরসভার মেয়র হাসিনা গাজী বলেন, পৌরসভার বেশ কিছু গ্রাম নি¤œাঞ্চলে থাকায়, সেচ খাল শিল্প কারখানার বর্জ্যে ভরাট হয়ে যাওয়ায় ও দীর্ঘদিন খালের সংস্কার কাজ না হওয়ায় জলাবদ্ধতা স্থায়ী রূপ নেয়। এ উদ্যোগে শিগগিরই জলাবদ্ধতা অবশ্যই নিরসন হবে।
সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেন, তারাবো পৌরসভার জলাবদ্ধতা নিরসনে সকল উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে রূপগঞ্জের সার্বিক উন্নয়নে বর্তমান সরকার নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসাবে তারাবো পৌরসভার জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ