আজ সোমবার, ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তফসিলের আগে মাঠে নামছে না না.গঞ্জ বিএনপি

তফসিলের আগে মাঠে

তফসিলের আগে মাঠে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আগামী মাসে একাদশ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার কথা রয়েছে। তাই এই মুহুর্তে রাজপথে নামার পরিকল্পনা নেই নারায়ণগঞ্জ বিএনপির। একাধিক শীর্ষ নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রাজপথে নেমে মামলার সংখ্যা না বাড়িয়ে যথাসময়ে সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নামার পরিকল্পনা তাদের। আর তাই খালি মাঠে আওয়ামীলীগকে ওয়াকওভার দিচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন কেউ কেউ। তবে তৃনমূল বলছে, একের পর এক মামলায় জর্জরিত হয়ে ফেরারী আর কোর্টের বারান্দায় দিন কাটাচ্ছে দলীয় নেতা-কর্মীরা। কিছুতেই আস্থা ফিরে পাচ্ছেনা। শীর্ষ নেতারা এ দাবি মানতে নারাজ। তারা বলেছেন, আমরা সার্বিকভাবে প্রস্তুত আছি। শুধু একটি হুইসেলের অপেক্ষা। নির্দেশ আসা মাত্রই রাজপথে জ্বলে উঠবে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি একাদশ জাতীয় নির্বাচনের প্রক্কালে মামলা হামলায় চরমভাবে বিধ্বস্ত। দলেল চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া জেলখানায়, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বিদেশে পলাতক জীবন যাপন করছেন। দলের নেতৃত্ব দেয়ার মতো লোকের অভাব থেকেই ড. কামালের আহ্বানে জাতীয ঐক্যে ফ্রন্টে গেছে বিএনপি। ঐক্যফ্রন্টের ভবিষ্যত নিয়েও রয়েছে নানা শংকা। এদিকে গত ৯ বছরে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নামে মামলা হয়েছে কয়েক শ। সম্প্রতি ৭ থানায় অর্ধশতাধিক গায়েবী (তাদের ভাষায়) মামলা রুজু হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেফতারের ভয়ে হাজার হাজার দলীয় নেতা-কর্মী বাড়ী ছাড়া। অনেকে জামিনের অপেক্ষায় কোর্টের বারান্দায় সময় কাটাচ্ছেন। এমতাবস্থায় রাজপথে নামার মতো পরিস্থিতি নেই নারায়ণগঞ্জ বিএনপির। তার উপর কথিত আছে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমানের হুংকারে বিএনপি রাজপথে নামার সাহস হারিয়েছে। অবশ্য একাধিক বিএনপি নেতা মনে করেন, পুলিশ ছাড়া আওয়ামলীগ বা শামীম ওসমানকে মোকাবেলা করার মতো রাজনৈতিক শক্তি নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রয়েছে। রাজপথে তো আওয়ামীলীগ বাঁধা দেয় না, বাঁধা দেয় পুলিশ। একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তারপর গ্রেফতার করছে। এসবের কারণেই বিএনপি মাঠে নামতে পারছেনা।

এব্যাপারে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল বলেছেন, বিএনপি নেতা-কর্মীরা একটি হুইসেলের অপেক্ষায় আছে। হুইসেল বাজলেই সবাই একসঙ্গে রাজপথে নেমে আসবে। তখন গণজোয়ারে ভেসে যাবে অবৈধ সরকার। সকল অন্যায় অত্যাচার জুলুমের হিসাব নেবে জনগন।

রাজপথে নামার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি এড শাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, এব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারবোনা। দলের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক আছে, ওনাদের জিজ্ঞেস করেন। জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামানের মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ