আজ শনিবার, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ডেঙ্গুর প্রভাব ফলে

স্টাফ রিপোর্টার: নারায়ণগঞ্জে ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। জ্যামিতিক হারে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এরই মধ্যে জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৭৫০ ছাড়িয়েছে। হাসপাতালগুলোতে রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। এর মধ্যে বেড়েছে ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের পথ্য ফলের দামও। এই তালিকার প্রথম সারিতেই আছে ডেঙ্গু রোগীদের অন্যতম পথ্য ডাব। বড় আকারের একটি ডাবের দাম দেড় থেকে আড়াইশ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে কমলা, মাল্টা, আনার, ড্রাগনফল, ও আপেলের দাম।
গতকাল শহরের বিভিন্ন ফলের বাজার ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এক মাসের ব্যবধানে প্রায় সব ফলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। গতমাসের তুলনায় প্রত্যেক ফল কেজিতে ৩০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে স্বস্তি দেশি আনারসে।
শহরের চারারগোপে অবস্থিত ফলের আড়ত সংলগ্ন ডাব বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত মাসে মাঝারি আকারের ডাব ১০০ ও বড় আকারের ১৫০ টাকায় বিক্রি হলেও এ মাসে একটি মাঝারি আকারের ডাবের মূল্য ১২০ থেকে ১৫০ টাকা এবং বড় আকারের কচি ডাবের মূল্য ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে ভিন্ন চিত্র দেখা যায় শহরের ও হাসপাতালের আশপাশের এলাকাগুলোতে। চাষাড়া, জিয়াহল ও এর আশেপাশে ঘুরে দেখা যায় একটি বড় আকারের ডাব বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়।
ডাব বিক্রেতা আব্দুর রহিম বলেন, ডাবের দাম এমন। এখন চাহিদা বেশি আর আমদানি কম তাই ডাবের দাম বেশি। আমরা নিজেরাই বেশি দামে কিনে আনি কমে বিক্রি করবো কিভাবে।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খাওয়ার উপদেশ দেন চিকিৎসকেরা। তবে ভিটামিন সি এর বড় উৎস হিসেবে পরিচিত বিদেশি ফল কমলা ও মাল্টা। তাই বাজারে বেড়েছে এর চাহিদা। আর চাহিদার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কমলা ও মাল্টার দাম।
শহরের দুই নম্বর রেলগেট সংলগ্ন ফলের বাজারের ব্যবসায়ীদের তথ্যমতে, গতমাসে যে মাল্টা ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে এ মাসে তার দাম ৭০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০টাকা বিক্রি হচ্ছে। কমলা ও ড্রাগন ফল ২৫০ টাকা থেকে ৫০ বেড়ে ৩০০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আনার ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা থেকে ৪০ টাকা বেড়ে কেজি ৩৮০ বিক্রি হচ্ছে। আপেল ২৫০, ২৮০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে ২৮০ ও ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ফল ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, গতমাসেও ফলের দাম কম ছিল। এই মাসে অধিকাংশ ফলের বেড়েছে। বিশেষ করে মাল্টার, মাল্টার কারণে কমলার দামও বেশি। প্রতিদিন ঢাকার বাদামতলী ফলের আড়ত থেকে আমরা ফল আনি। আড়ত থেকেই ফলের দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়। আমার যে দামে নিয়ে আসি তার কিছু লাভেই বিক্রি করে দেই। এছাড়া এখন ফলের সিজন শেষের দিকে তাই
তবে দাম বাড়েনি দেশি আনারসের। বড় আকারের একটি আনারস ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করছেন বলে জানান ব্যবসায়ী আব্দুল রব। তিনি বলেন, জ্বরের কারণে এখন আনারসের চাহিদা বেশি। প্রতিদিন ভালোই বিক্রি হয়।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ