আজ শুক্রবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ডিআইটি খতিব সাহেব ঘোষণা দিতেন নারায়ণগঞ্জকে অচল করে দিতাম

ভোলায় ইসলাম ধর্ম অবমাননার ঘটনায় সৃষ্ট সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় সমাবেশ করেছে নারায়ণগঞ্জ ওলামা পরিষদ। সোমবার ২১ অক্টোবর বাদ আছর শহরের ডিআইটি জামে মসজিদ এলাকাতে এ সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে  ওলামা পরিষদের অন্যতম মুফতি রহমাতুল্লাহ বুখারী বলেন, ভোলার রাজপথ রক্তাক্ত  হয়েছে। আজকে আমার ঐতিহ্যবাহী ডিআইটি খতিব সাহেব ডাক দিয়েছেন। পুলিশ ভাইয়েরা বলছে আমাদের সহযোগিতা করবে আলহামদুলিল্লাহ। খোদার কসম করে বলি ,আজকে এই ইমাম সাহেব , ডিআইটির খতিব সাহেব আমাদের স্পন্দন ঘোষণা দিতেন নারায়ণগঞ্জকে অচল করে দিতাম। অনতিলম্বে ভোলার এসপি ও ওসিকে ফাঁসির মঞ্চে ঝুলানো হোক।

সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ জেলা হেফাজতে ইসলামের সমন্বয়ক ফেরদাউসুর রহমান বলেন, ‘২ ঘণ্টার আলটিমেটামে নারায়ণগঞ্জ অচল হয়ে যাবে যদি আমরা চাই। যদি আবদুল আউয়াল হরতালের ডাক দেয় তাহলে একটি সাইকেলও চলবে না।’

তিনি আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জ ওলামা পরিষদ নারায়ণগঞ্জকে একক ভাবে নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষমতা রাখে। নারায়ণগঞ্জকে অচল করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে।

এতে উপস্থিতিরা বলেন, ‘সারাদেশে তৌহিদী জনতার হৃদয়ে যে আগুন জলে উঠেছে সেটা বঙ্গোপসাগরের পানিতেও নিভবে না। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন ভোলার যে ঘটনা ঘটেছে সেটার কঠোর বিচার করেন। নতুবা সামনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।’

জেলা ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা আবদুল আউয়াল বলেন, ‘নবীর বিরুদ্ধে কটূক্তি হবে আর তৌহিদী জনতা ঘরে বসে থাকবে সেটা হয় না। যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের ফাঁসি কাষ্ঠে ঝুলাতে হবে।’

আরো বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিশের সভাপতি সিরাজুল মামুন, মহানগরের সভাপতি ডা. মোসাদ্দেক, হেফাজত নেতা আবদুল কাদির, মহানগর ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, মাওলানা ইসমাইল হোসেন সিরাজি, হারুন অর রশিদ, কামালউদ্দিন দায়েমী প্রমুখ।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ