আজ বুধবার, ২৯শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফেরা

সামিতুল হাসান নিরাক:
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত সারাদেশ। এখন পর্যন্ত কোনো ওষুধ আবিস্কার না হওয়ায় আপাতত জনসমাগম এড়িয়ে চলাই এ রোগ প্রতিরোধের একমাত্র উপায়। তবে এর উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জে। ঈদের ছুটিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও যাত্রীরা করোনা আতঙ্কের কথা চিন্তা না করেই ট্রাকে ও পিকআপভ্যানেই বাড়ি ফিরছে। তবে জেলার বাইরে যেন মানুষ যেতে না পারে প্রশাসন সে চেষ্টা অব্যহত রেখেছে।
সরেজমিন দেখা যায়, করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি থেকে নিরাপদ থাকতে ন্যূনতম তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হলেও গাদাগাদি করে মানুষ গ্রামে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস আতঙ্ক এখন সবার মনে। এই আতঙ্কেই শহর ফাঁকা করে মানুষ ছুটছে গ্রামের বাড়ি। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় নিজ নিজ উদ্দ্যোগে বাড়ি ফিরছে মানুষ। কেউ আলাদা প্রাইভেট কার ভাড়া করছে আবার অনেকে যৌথ উদ্দ্যোগে হায়েছ গাড়ি ভাড়া করে। কিন্তু নি¤œ আয়ের মানুষ বেশীর ভাগ মালবাহী ট্রাক আর পিকআপ ভ্যান করে বাড়ি যাচ্ছে কেকনা এসব যানবাহনে তুলনা মূলক ভাড়া কম।
গ্রামের বাড়ি যাওয়া এক জনের সাথে কথা বললে সে জানায়, তিনি ও তার পরিবার সকলকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি যশোর ঈদের আনন্দ উপভোগ করবে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় তারা এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া নিয়েছে। ঈদের ২ দিন আগে তার পরিবার নিয়ে এ্যাম্বুলেন্সে গ্রামের বাড়ি যাবে।
মালবাহী ট্রাকে বসা এক যাত্রীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি চট্টগ্রাম যাবো যেখানে অন্য সময় ভাড়া নিতো সাড়ে ৪শ’ সেখানে এখন ভাড়া গুনতে হচ্ছে ৮শ’ টাকা। ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন এমন প্রশ্নে সোজাসাপ্টা জবাব ‘এই মৃত্যুপরীতে শহরে থাকার চেয়ে ঝুঁকি নিয়ে গ্রামে ফেরাই ভালো।
এ ব্যাপারে একাধিক মালবাহী ট্রাক আর পিকআপ ভ্যান চালকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, লকডাউন চললেও ঈদকে সামনে রেখে শহর থেকে এখন ফিরবে গ্রামের বাড়িতে মানুষ। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় গন্তব্যগামী অসহায় মানুষদের কথা ভেবেই তাদের নিয়ে আসা হয়েছে।