আজ শুক্রবার, ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জাহাঙ্গীর কমিশনারকে স্মরন এটিএম কামালের

সংবাদচর্চা রিপোর্ট

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেকবুকে নিজের একাউন্টে নারায়ণগঞ্জ নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি মরহুম জাহাঙ্গীর কমিশনারকে নিয়ে একটি ছবি সহ লেখা পোষ্ট করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল। গত বুধবার মরহুম জাহাঙ্গীর কমিশনারের দ্বিতীয় মৃত্যুবাষির্কীতে তাকে স্মরন করে এই লেখাটি লেখেন এটিএম কামাল। লেখাটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হল।

স্মরণ:

১/১১ বৈরী সময়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর মুক্তির দাবীতে আমরণ অনশন কর্মসূচির এই ছবির অনেকেই আজ আমাদের মাঝে নেই। শহর বিএনপির সভাপতি মরহুম আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি মরহুম আলহাজ্ব জান্নাতুল ফেরদৌস ভাই, শ্রমিকদল নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম ভাই ও সদ্য প্রয়াত শহর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মরহুম বিল্লাল হোসেন এর মধ্যে অন্যতম।

দুই বছর পূর্বে জুনের ১০ তারিখ জাহাঙ্গীর ভাই ইন্তেকাল করেছিলেন। জাহাঙ্গীর ভাই ও আমি সম্মেলনের মাধ্যমে শহর কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলাম। ওনার সাথে কেউ প্রতিদন্ধিতা না করায় ওনি সভাপতি আনকন্টেস্টে হয়ে যান। আর আমার সাথে একাধিক প্রার্থী থাকায় কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোট হলো সাধারণ সম্পাদক পদে। সে সময় জাহাঙ্গীর ভাই আমাকে সরাসরি সমর্থন দিয়েছিলেন। আমার নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পিছনে তাঁর এই অবদান আমি আমৃত্যু কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবো। তারপরের ইতিহাসতো সবার জানা। রাজপথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন করেছি।  একসাথে কারাগারে ছিলাম দীর্ঘদিন। নিবেদিত প্রাণ কর্মীবান্ধব নেতা ছিলেন তিনি। এক সময় কারাগারেই গরুতর অসুস্থ্য হয়ে গেলেন, আর তাঁর সেরে হয়ে ওঠা হলোনা।

অনন্তকালের যাত্রায় আপনার সহযাত্রী কবে হতে পারবো জানিনা। তবে যে ক’টা দিন একসাথে এধারায় আমারা হেঁটেছি, আমার স্মৃতিতে তা চির অম্লান হয়ে থাকবে। মরহুম জাহাঙ্গীর ভাই সহ দলের সকল মরহুম নেতৃবৃন্দের রূহের মাগফিরাত কামনা করি।  মহান রাব্বুল আল-আমিন যেন তাঁদের বেহেস্তের সর্বোচ্চ মোকাম দান করেন সেই প্রার্থনাই করি।

 

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ