আজ বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জামায়াত ক্ষমা চাইলেও যুদ্ধাপরাধের বিচার চলবে: কাদের

মুক্তিযুদ্ধে নিজেদের ভূমিকার জন্য এত বছর পর এসে জামায়াতে ইসলামের ক্ষমা চাওয়ার প্রসঙ্গ ওঠাকে রাজনৈতিক কৌশলের অংশ বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ওবায়দুুল কাদের বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর ক্ষমা চাওয়ার বিষয় কেন এল, সেটাও কোনও কৌশল কি না, ভেবে দেখতে হবে। অফিসিয়ালি তারা এখনও কিছু বলেনি। এটা কৌশলও হতে পারে। তবে ক্ষমা চাইলেও যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের যে বিচার চলছে, সেটা বন্ধ হবে না।

জামায়াতের জ্যেষ্ঠ নেতাদের প্রধান আইনজীবী হিসেবে মামলা লড়া আব্দুর রাজ্জাক ২০১৩ সালে হঠাৎ করেই দেশ ছাড়েন। শুক্রবার সেখান থেকে দলের আমির মকবুল আহমদের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান তিনি।

পদত্যাগ পত্রে আব্দুর রাজ্জাক ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করার জন্য জনগণের কাছে জামায়াতের ক্ষমা না চাওয়া এবং একবিংশ শতাব্দীর বাস্তবতার আলোকে ও অন্যান্য মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনকে বিবেচনায় এনে দলটি নিজেদের সংস্কার না করতে পারার কারণ উল্লেখ করেন।

রাজ্জাকের পদত্যাগের বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, এটা তার ব্যক্তিগত, তাদের দলের সিদ্ধান্তের ওপর বিষয়টি নির্ভর করছে। তাদের উদ্দেশ্য (ইনটেশন) এখনও পরিষ্কার না। আগে পরিষ্কার হোক।

জামায়াত নতুন নামে এলে আওয়ামী লীগের পক্ষে তাদের স্বাগত জানানো হবে কিনা- এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগ কোনও সিদ্ধান্তই এখনও নেয়নি বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

মন্ত্রী বলেন, নতুন বোতলে পুরাতন মদ যদি আসে, তাহলে পার্থক্য কোথায়? জিনিস তো একটাই। তাদের আদর্শটা ঠিক আছে, নতুন নামে একই আদর্শ আসবে, তাহলে পার্থক্যটা কোথায়?

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ