নবকুমার:
আগামী ২৫ জুলাই পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে জমে উঠেছে পাকিস্তানের নির্বাচনের মাঠ। প্রত্যেক পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরি দেয়র আশ্বাস দিয়ে নির্বাচনে জয়ের লক্ষে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা করছে পাকিস্তান পিপল’স পার্টির (পিপিপি) নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি।
প্রাচারণায় থেকে নেই মুসলিম লীগ,ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই)।
পিপল’স পার্টির (পিপিপি) নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি বলছেন, প্রত্যেক পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরি দেয়া হবে। আর ইমরান খান বলছেন, তার দল ক্ষমতায় এলে আগামী পাঁচ বছরে ১ কোটি মানুষকে চাকরি দেয়া হবে। অর্থাৎ পাকিস্তানের মোট পরিবার সংখ্যা অনুযায়ী, ৩ কোটি ২২ লাখ মানুষকে সরকারি চাকরি দেয়া হবে।
ডন জানিয়েছে, ইমরানের এমন ‘আকাশ কুসুম’ আশ্বাসে বিরোধী দলগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার দল পিটিআইকে উপহাস করছে।
তবে জারদারি তার চেয়ে আরও বড় প্রতিশ্রুতি দিলেও সেটাকে আরও বস্তুনিষ্ঠ বলে মনে করছেন অনেকে। প্রতিশ্রুতির ক্ষেত্রে সংখ্যার কথাটা উল্লেখ করছেন না তিনি। দল দুটি এমন আশ্বাস দিয়েই জনগণের কাছে ভোট চাচ্ছে।
কারণ পাকিস্তানের অর্থনীতি ও এত অল্প সময়ে বিপুলসংখ্যক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার সক্ষমতা সম্পর্কে তাদের প্রকৃত ধারণা নেই।
পত্রিকাটি বলেছে, প্রকৃতপক্ষে সরকারের ঋণ, প্রতিরক্ষা ও সরকারি প্রশাসন ব্যয় এবং সরকারের অন্যান্য বাজেট বরাদ্দের পর জনগণের উন্নয়নে এমন উচ্চাকাক্সক্ষা অবাস্তবই বটে।
২০১৭ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, পাকিস্তানের জনসংখ্যা ২০ কোটি ৭৮ লাখ। মোট পরিবারের সংখ্যা ৩ কোটি ২২ লাখ। প্রত্যেক পরিবারে গড়ে ৬.৫ জন সদস্য রয়েছে। দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, এতগুলো পরিবারে একটি করে চাকরি দিতে হলেও পিটিআইকে প্রতি ২১ পরিবারে একটি চাকরি দিতে হবে।
এ জন্য দলটিকে প্রতি ঘণ্টায় ২২৮টি ও প্রতি মিনিটে ৪টি কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে।
জারদারির পিপিপির ক্ষেত্রে এটা আরও কঠিন হবে। তার দলকে ৩ কোটি ২২ লাখ চাকরি তৈরি করতে হবে। সেই হিসাবে প্রতি ঘণ্টায় ৭৩৫টি ও প্রতি মিনিটে ১২ চাকরি দিতে হবে।