আজ রবিবার, ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ছাত্রীদের পাকিস্থানের নির্যাতনের বর্ণনা শোনাল মন্ত্রী গাজী

নবকুমার:

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্থান হানাদার বাহিনী বাঙালিদের উপর যে অত্যাচার নির্যাতন হত্যা  করেছে সেই নির্যাতনের বর্ণনা  সিদ্ধেশ্বরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের শুনিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ  ১ আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক। সোমবার সকালে মন্ত্রীর সিদ্ধেশ্বরীর বাসায় ছাত্রীদের এই গল্প শোনান। ছাত্রীরা একাত্তরের রণাঙ্গণের  কিংবদন্তী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীকের কাছে মুক্তিযুদ্ধের একটা স্মরণীয় ঘটনা জানতে চাইলে মন্ত্রী  বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষণ শোনার পর ২৫ শে মার্চ রাত ১২ টার দিকে পাকিস্তান আর্মি নিরীহ বাঙালিদের গণহত্যা শুরু করে। রাত ৩টার দিকে আমাদের সিদ্ধেশ্বরীর বাসায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনের ৩ জন সদস্য আমাদের বাসায় এসে দরজা টুকাচ্ছে। তখন আমাদের বাসা নিচ তলায় ছিলো। আমার বাবা আমাদের ৩ জনকে খাটের নিচে যেতে বললো আমরা খাটের নিচে গেলাম। আমার বাবা একা দরজা খুলে দেখে ৩জন পুলিশ । তারা এসে বলেন স্যার আমাদের বাঁচান আমরা রাজার বাগ পুলিশ লাইন থেকে পালিয়ে এসেছি। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করব। তখন আমার বাবা তাদের লুঙ্গি শার্ট  দিলো । তারা আমাদের বাসায় থাকলেন। মন্ত্রী বলেন, আমি যখন মুক্তিযুদ্ধে যাই। তখন পাকিস্থান আর্মি  আমাদের বাসায় এসে ফুটেজ নিয়ে গেলো। আমরা আর ঢাকায় থাকতে পারলাম না। আমরা চলে গেলাম রূপগঞ্জে । ঢাকায় এসে আক্রমণ করে আমরা রূপগঞ্জে গিয়ে থাকতাম। যতগুলো আক্রমণ করেছে সব গুলো আক্রমণে সফল হয়েছি। ডিসেস্বের মাসে রূপগঞ্জ নরসিংদী স্বাধীন হয়।

রাজাকারদের নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে বলেন, রাজাকাররা আমাদের ৬ জন সদস্যকে ধরে নিয়ে যায়। আমাদের ১২ জন সদস্য শহীদ হয়। রাজাকাররা নারীদের ধরে নিয়ে পাকিস্থানের হাতে তুলে দিয়েছে। বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে।

মন্ত্রী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তোমরা দেশ প্রেমিক হও । মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শে জীবন ধারণ করো। ওই মহামানবের জন্যই তোমরা এই দেশ পেয়েছো। তিনি এদেশের জন্য ৪ হাজার ৬৮২ দিন কারাগারে ছিলেন।

গোলাম দস্তগীর গাজী আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা আগরতলায় প্রশিক্ষণ নেয়। ডিসেম্বর মাসে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা বেড়ে যায়। প্রায় প্রত্যেক বাড়ি থেকে মুক্তিযোদ্ধা চলে আসলো।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ