আজ রবিবার, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চিরদিনের বন্ধুত্ব তৈরি করার ৭ টি উপায়

লাইফস্টাইল ডেস্ক:  কথায় আছে বন্ধু ছাড়া লাইফ ইম্পসিবল, মূলত এই কথাটি দিয়ে জীবনে বন্ধুত্বের গুরুত্ব বোঝানো হয়েছে। জীবনকে হাঁসি ঠাট্টা আর আনন্দে কাঁটাতে হলে বন্ধু লাগবেই। জেনে নিন চিরদিনের বন্ধুত্ব তৈরি করার ৭ টি উপায়।

আগে বন্ধু হোন
আপনি বন্ধুত্ব করতে চান তা দেখানোর জন্য নিজে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিন। দুই একটা মিষ্টি কথা ও একটু সাহায্য করা একটা বীজের মতো, যা পরে বন্ধুত্বের এক বিশাল বৃক্ষ হয়ে যায়। আমেরিকার প্রবন্ধকার রাল্ফ ওয়াল্ডো এমারসন বলেছেন, একমাত্র বন্ধু হয়েই আপনি বন্ধু পেতে পারেন।

বন্ধুত্বে সময় দিন
বন্ধুত্ব করার জন্য সময় করে নিন। অনেকেই ভালো বন্ধু চান। কিন্তু বন্ধুত্ব করার জন্য তাদের হাতে সময় নেই। মনে রাখবেন, বন্ধুত্ব হচ্ছে একটা ফুলগাছের মতো যাতে ফুল ফোটানোর জন্য পানি ও যত্নের প্রয়োজন। আর তার জন্য সময়ের দরকার।

বন্ধুকে গুরুত্ব দিন
অন্যেরা যখন কথা বলেন মন দিয়ে তা শুনুন। যারা ভালো করে মন দিয়ে অন্যের কথা শোনেন তারা খুব তাড়াতাড়ি বন্ধুত্ব করতে পারেন। আপনি যখন অন্যদের সঙ্গে গল্পগুজব করেন তখন তারা কী বলতে চান তা শুনুন। তাদেরও কথা বলার সুযোগ দিন। নিজে এগিয়ে গিয়ে তাদের সম্মান দেখান। তাহলেই তারা আপনার সঙ্গ চাইবেন। অন্যদের সঙ্গে গল্পগুজব করার সময় আপনি যদি সবসময় নিজের কথাই বলেন বা আপনি নিজে বিশেষ কিছু বলে দেখাতে চান, তাহলে এমন কাউকেই হয়তো আপনি খুঁজে পাবেন না যিনি আপনার কথা শুনতে বা বুঝতে চাইবেন।

ক্ষমা করুন
সত্যিকারের বন্ধু আপনার ছোট্ট ছোট্ট ভুলগুলো বড় করে দেখেন না। যেমন বলা যায়, কেউ কেউ হয়তো পেয়ারায় ছোট্ট ছোট্ট অনেক বীজ থাকায় তা খেতে ভালোবাসেন না। কিন্তু আবার যারা পেয়ারা খেতে ভালোবাসেন তাদের এ বীজগুলো চোখেই পড়ে না। সত্যিকারের বন্ধুদের তাদের ভালো গুণের জন্য ভালোবাসা হয় কিন্তু তাদের ছোট ছোট ভুলগুলো বড় করে দেখা হয় না। যারা ক্ষমা করতে শেখেন তারাই বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখতে পারেন।

ব্যক্তিগত সময়
সবসময় বন্ধুর সঙ্গ চাইবেন না। প্রত্যেকের নিজের জন্য সময় দরকার আর আপনার বন্ধুর ব্যাপারেও তাই। এজন্য আপনি আপনার বন্ধুর সঙ্গে কতবার দেখা করতে যাচ্ছেন এবং তাদের সঙ্গে কতক্ষণ সময় কাটাচ্ছেন তা খেয়াল রাখুন। তাদের ওপর কর্তৃত্ব করবেন না, তাতে ঈর্ষা জাগতে পারে। যখন কোনো ব্যাপারে আপনার নিজস্ব মতামত বা ইচ্ছে জানানোর থাকে তখন তা ভালোভাবে চিন্তা করে বলুন। এতে আপনার বন্ধুত্ব আরও গভীর হবে। আরও অনেকে আপনার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চাইবেন।

উদার ও খোলা মন
খোলা মনের হলে বন্ধুত্ব গড়ে তোলা সহজ হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, অন্যদের সঙ্গে ভালো করে কথা বলুন। অন্যদের প্রশংসা করুন। ভালো বিষয় নিয়ে আলোচনা করুন। অন্যদের উৎসাহ দিন। আপনি যখন দেখান, আপনি অন্যের বিষয়ে চিন্তা করেন, অন্যের ভালো চান তখন অন্যেরা আপনার আরও কাছে আসবেন। আপনার জন্য তারা কী করতে পারেন তা ভাবার চেয়ে বরং ভাবুন, আপনি তাদের জন্য কী করতে পারেন।

বন্ধুর পাশে বন্ধু
আপনার জীবন কেমন হবে তার বেশিটাই ঠিক হয় আপনি কেমন বন্ধু তার ওপর। বেশির ভাগ সময়ই শুধু নিজের জন্য বেঁচে থাকতে চাইবেন না। তাহলে কখনই সুখী হতে পারবেন না। কারণ যাদের কোনো বন্ধু থাকে না তারা তাদের সুখদুঃখের কথা বলতে পারেন না। কাজেই বন্ধুত্ব করা হচ্ছে বুদ্ধির কাজ। আপনি যদি অনেকের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন, তাহলে তাদের মধ্যে কেউ না কেউ দরকারের সময় আপনার পাশে এসে দাঁড়াবে। তেমন আপনিও দাঁড়াবেন বন্ধুর পাশে। তথ্যসূত্র : ইন্টারনেট

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ