নিজস্ব প্রতিবেদক:
শহরের চাষাঢ়ায় বালুটমাঠ এলাকায় ভাষা সৈনিক সড়কের ফুটপাত দখল করে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ভ্রাম্যমাণ টং দোকান। পাশাপাশি এ সড়কের দু’পাশে থাকা রড এবং ষ্টীলের দোকানের মালামাল লোড-আনলোডের ভ্যান ও বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির মোটরসাইকেল পার্কিং করে দখল করা হয়েছে মূল সড়কের আরও অর্ধেক জায়গা। ফুটপাতে অবৈধ এসব ভ্রাম্যমাণ দোকান এবং গাড়ি পার্কিংয়ে সড়কটি সংকীর্ণ হয়ে প্রায়ই এখানে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজটের। এতে করে ভোগান্তিতে পরছে সড়কে চলাচলরত পথচারীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পেছনে ভাষা সৈনিক সড়কের ফুটপাত দখল করে রেখেছে অসংখ্য খাবারের টং দোকানিরা। এছাড়াও এই সড়কের দু’পাশে থাকা বিভিন্ন রড এবং ষ্টীলের দোকানের ব্যবসায়ীদের ভ্যান, রিক্সা ও ঔষদ কোম্পানির মার্কেটিং প্রতিনিধিদের মোটরসাইকেল পার্কিংয়ে মূল সড়কের আরও ৪ ফুট দখল করেছে। চাষাঢ়ায় বেলী টাওয়ারের সামনে থেকে শুরু করে মর্ডান ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের আগ পর্যন্ত সড়কে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ টি ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়েছে ফুটপাতের দোকানীরা। পাশাপাশি নিজস্ব পার্কিংয়ের জায়গা না থাকায় বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির মোটরসাইকেল এবং রড দোকানীদের ভ্যান পার্কিংয়ে দখল করেছে সড়কের অর্ধেক জায়গা। ফুটপাত দখল করে সকাল থেকে গভির রাত পর্যন্ত ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে দোকানীরা। ফলে চলাচলের জন্য বাধ্য হয়ে মূল সড়ক দিয়ে চলাচল করছে সাধারণ পথচারীরা। রাস্তায় অবৈধ ভাবে গাড়ি পার্কিং এবং ফুটপাত দখলে থাকায় সড়কটি সংকীর্ণ হয়ে অন্যসব যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। ভোগান্তিতে পরছে যাত্রীসহ সাধারণ মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, ফুটপাত এবং গাড়ি পার্কিংয়ে সড়কটি দখল হয়ে আছে। দখলবাজির কারণে রাস্তার পরিধি কমে একটু পর পরই যানজট লাগে এখানে। ঠিকমতো চলাচল করা যায় না। প্রশাসন বঙ্গবন্ধু সড়কে বার বার উচ্ছেদ অভিযান করলেও চাষাঢ়া বালুর মাঠ এলাকায় তেমন কোনো নজর নেই প্রশাসনের।
সচেতন মহলের মতে, শত চেষ্টার পরেও দখলদারদের হাত থেকে শহরকে দখল মুক্ত করা সম্ভব হয়নি। যার ফলে দখলবাজদের দৌরাত্ম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। কেউ যেন অবৈধ ভাবে যানবাহন পার্কিং এবং ফুটপাত দখল করতে না পারে সে বিষয়ে বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন প্রশাসনের।