আজ শনিবার, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চাকরির বয়স ৩৫ না করার পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর যুক্তি

সরকারি চাকরিতে বয়স ৩৫ না করার পক্ষে আজ সোমবার সংবাদ সম্মেলনে কয়েকটি যুক্তি তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, নিয়মিত পড়াশোনা করলে ২৩-২৫ বছরের মধ্যেই সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিতে পারে। এছাড়া তিনটি বিসিএসে দেখা গেছে, যাদের বেশি বয়স, তাদের পাসের হার খুব কম। এখন জন্ম নিবন্ধন হয়। বয়স লুকানো যায় না। নিয়মিত পড়াশোনা করলে ১৬ বছরে এসএসসি পাস, এরপর ২ বছরে এইচএসসি। পরে ৪ বছরে অনার্স ও ১ বছরে মাস্টার্স করলে ২৩ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ৩৫তম বিসিএসে ২৩ থেকে ২৫ বছরের প্রার্থীদের মধ্যে ৪০.৭ শতাংশ পাস করেছে। ২৫ থেকে ২৭ বছরের প্রার্থীদের মধ্যে ৩০.২৯ শতাংশ এবং ২৭ থেকে ২৯ বছরের প্রার্থীদের মধ্যে ১৩.১৭ শতাংশ পাস করেছে। এছাড়া ২৯ বছরের বেশি বয়সের প্রার্থীদের পাসের হার ৩.৪৫ শতাংশ।
৩৬তম বিসিএসের ফল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২৩ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের পাসের হার ৩৭ দশমিক ৪৫ ভাগ, ২৫ থেকে ২৭ বছর বয়সীদের পাসের হার ৩৪ দশমিক ৭৮, ২৭ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের পাসের হার ১৪ দশমিক ৮৯ ভাগ এবং ২৯ বছরের বেশি বয়সীদের পাসের হার ৩ দশমিক ২৩ ভাগ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৩৭তম বিসিএসে ২৩ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের পাসের হার ৪৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ, ২৫ থেকে ২৭ বছর বয়সীদের পাসের হার ২৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ, ২৭ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের পাসের হার ৭ দশমিক ২০ শতাংশ এবং ২৯ বছরের বেশি বয়সীদের পাসের হার ০ দশমিক ৬১ শতাংশ।
বিসিএসের তিন পর্বের ফল বিশ্লেষণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন বলুন কোনটা গ্রহণ করবো। আমি হিসাবটা দিলাম আর কিছু বলতে চাই না। চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ পর্যন্ত করলে কী দাঁড়াবে অবস্থাটা, আমাকে বুঝিয়ে বলুন। তখন তো বিয়ে-শাদি হবে, ছেলে-মেয়ে হবে, বউ সামলাতে হবে, ঘর সামলাতে হবে আর পরীক্ষা দিতে হবে। তখন তো অবস্থা আরও করুণ হবে!
একটা কাজ করবার একটা সময় থাকে, এনার্জি থাকে। কিন্তু ৩৫ বছরের পর চাকরির পরীক্ষা দিলে রেজাল্ট, ট্রেনিং শেষ করে যোগ দিতে দিতে ৩৭ বছর লাগে। একটা সরকার তাহলে কাদের দিয়ে চালাবো ? প্রশ্ন রাখেন তিনি।
শেখ হাসিনা জানান, সংসদে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করার এমন প্রস্তাব গিয়েছিল। তখন এই বিষয়গুলোই বিবেচনা করা হয়।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ