আজ রবিবার, ২৪শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

না.গঞ্জে চাঁদার কারনে কমেছে আনন্দ বাস

সংবাদর্চচা রিপোর্ট:
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রোডে আনন্দ পরিবহনের বাস আগে ১ থেকে ২ মিনিট পরপর কাউন্টারে আসতো। যাত্রিরার টিকেট কাটতে না কাটতেই বাস পেয়ে যেতো। এখন চিত্র ভিন্ন। একটি আনন্দ বাসের দেখা পেতে আধঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। সূত্র মতে, নেতাদের চাঁদাবাজির কারনে এ পরিবহন থেকে অধিকাংশ মালিক বাস সরিয়ে নিয়েছে। বাস কমে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে এ রুটের যাত্রিরা।

যাত্রিদের দেয়া তথ্যের যাচাই করতে এ প্রতিবেদক চাষাঢ়া কাউন্টারে ১ ঘণ্টা অবস্থান নেন। ২ টা ৫০ মিনিটে ১নং রেলগেট থেকে ছেড়ে ব ১১-০০৫০ নাম্বারধারী একটি আনন্দ বাস চাষাঢ়া কাউন্টারে আসে। ৫ মিনিট অবস্থান করে যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে রওয়ানা দেয়। এর পরের গাড়িটি আসে ৩ টা ১৫ মিনিটে। অপরদিকে ঢাকা থেকে ৩.১০ মিনিটে একটি আনন্দ বাস আসে চাষাঢ়ায়। ঢাকা থেকে এর পরের বাসটি আসে ৩.৩৫ মিনিটে। যার গাড়ি নাম্বার ১১-৪৩৭৩।

এরপর এ প্রতিবেদক আনন্দ বাসে করেই পঞ্চবটি যান। সেখানে আনন্দ কাউন্টারের সামনে ১ ঘন্টা অবস্থান নিয়ে একই রকম চিত্র দেখতে পান। যাওয়ার পথে চোখে পড়ে যত্রতত্র যাত্রি উঠানো হচ্ছে। তারা টিকেট না কেটেই বাসে উঠে হেলপারের হাতে নগদ টাকা দিয়ে ভাড়া মেটায়। কিছুক্ষন পর পর বাস থামিয়ে যাত্রি উঠানো দেখে বাসের ভেতর থাকা যাত্রিরা ক্ষোভ প্রকাশ করলেও তা আমলে নেয়না চালক ও হেলপার। উল্টো প্রতিবাদি যাত্রিকে হেনস্থা করে তারা। ভুক্তভোগী যাত্রিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বাসের নাম আনন্দ হলেও এ বাসে চড়ে কোন আনন্দই পাওয়া যায় না। বরং বাসের সিটগুলো সব সময় ধুলো-ময়লায় ভরা থাকে। এগুলো কখনও পরিস্কার করা হয়না। ফতুল্লা পোস্ট অফিস স্ট্যান্ডের একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জানান, আগে আনন্দ পরিবহনের অনেক বাস ছিলো। যাত্রিরা এ বাস দিয়ে চলাচল করতো নিরাপত্তার কথা ভেবে। তবে বেশ কিছু দিন ধরে বাস কমতে শুরু করেছে। এখন আনন্দ বাসের দেখা মেলে খুব কম। যাত্রিরা অনেক্ষন অপেক্ষা করে। অনেক সময় বাস না পেয়ে ব্যাটারি চালিত অটো রিকশায় চলে যায়। ফতুল্লা লালপুরের বাসিন্দা আসলাম হোসেন জানান, এ সড়কে বাস কম থাকায় এখন ভোগান্তি বেড়েছে আমাদের। আমরা ঝুঁকি নিয়ে ছোট ছোট পরিবহনে শহরে যাই। চৌধুরী বাড়ির আরিফ চৌধুরী জানান, আমার মেয়েকে মহিলা কলেজে নিয়ে যেতে ফতুল্লা বাজার বাস স্ট্যান্ড থেকে দুই ভাঙ্গা দিয়ে যেতে হয়। প্রথমে ব্যাটারি চালিত অটো রিকশায় মাসদাইরস্থ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের গেটের সামনে যাই। পরে সেখান থেকে রিকশায় কলেজ গেটে যাই।

সূত্র মতে, পরিবহন নেতাদের কারনে অনেক মালিক তাদের মালিকানা বাস আনন্দ পরিবহন থেকে সরিয়ে নিয়েছে। বর্তমানে ১০/ ১৫ টি বাস রয়েছে। এ বাসগুলো লোকাল বাসের মতো সড়কে চলে।
আনন্দ পরিবহনের চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন বললেন ভিন্ন কথা। তিনি জানান, যানজট ও পোস্তগোলা ফ্লাই ওভারের কাজের জন্য এখন বাসের সংখ্যা কমে গিয়েছে। একই কারনে বাস কাউন্টারে আসতে দেরী করে। তার দাবি, ঢাকা নারায়ণগঞ্জ রোডে ২০ থেকে ২৫ টি আনন্দ বাস চলাচল করে।