আজ শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গ্রেফতার আতঙ্কে ওসমানপন্থীরা

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

মাদক সন্ত্রাস চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ। অপরাধীরা যে দলেরই হোক না কেন তাদের ছাড়া দেন না। এসপির কঠোর অবস্থানে গ্রেফতার আতঙ্কে রয়েছে ওসমানপন্থীরা। গ্রেফতারের শুরুটা হয়েছিলো মীর হোসেন মীরুকে দিয়ে শেষ কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু ওরফে ডিস বাবু। মাঝে টেনু গাজী, সাবেক কাউন্সিলর মুন্না।

পাশাপাশি শাহ নিজামের বিরুদ্ধে জিডি, নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা। সর্বশেষ সন্ত্রাসী মোফাজ্জল হোসেন চুন্নু ও পিচ্চি নজরুল গ্রেফতার হয়। এমন পরিস্থিতির পর শামীম ওসমান অনুসারি অনেকের মাঝেই বিরাজ করছে একটা গ্রেফতার আতঙ্কে। কথা আছে যেমন বাপ তেমন ছেলে। নারায়ণগঞ্জে এখন পর্যন্ত যত অপরাধী গ্রেফতার হয়েছে তার অধিকাংশ শামীম ওসমানের সমর্থক বলে জানা গেছে। তবে, সাংসদ শামীম ওসমান অনুসারিদের কারো কারো মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করলেও সাধারণ মানুষ এমন পরিস্থিতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, এভাবে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ‘অ্যাকশন’ নিলে অপরাধ প্রবণতা দিনদিন হ্রাস পাবে। পুলিশের এমন ভূমিকা দরকার আছে।

ইতোমধ্যে সাংসদ অনুসারিদের মধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন, ফতুল্লা থানার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী মীর হোসেন মীরু, চাঁদাবাজি মামলায় শাহ আলম গাজী টেনু, কাউন্সিলর আব্দুল করীম বাবু ওরফে ডিস বাবু, সাবেক কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না, সন্ত্রাসী মোফাজ্জল হোসেন চুন্নু, সন্ত্রাসী নজরুল ইসলাম ওরফে পিচ্চি নজরুল।
এছাড়াও মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজামের বিরুদ্ধে জিডি, সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা এবং মেরি এন্ডারসনের ঘটনায় তানভীর আহম্মেদ টিটুর নাম উঠে আসায় এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয় সর্বত্র।

এদিকে অতিসম্প্রতি খবরে প্রকাশ হয়েছে সাংসদ শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে ১৬ টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উল্লেখ করে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। আবার একই খবরে বলা হয়েছে সাংসদ শামীম ওসমান এসপি প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতির কাছে নালিশও করেছেন। একই ভাবে এই অভিযোগ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, পুলিশ তার নিজের কাজ করছে, বরবে।

সব মিলিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিই স্বাক্ষ্য দিচ্ছে যে, সাংসদ শামীম ওসমান অনুসারিরা বর্তমানে ভালো নেই। পুলিশ যতটা হার্ডলাইনে যাচ্ছে তার অনুসারি নেতাকর্মীরা ততটাই ভীত হয়ে উঠছেন এবং কোথাও না কোথাও গ্রেফতারকৃতরা কোনো না কোনো ভাবে এই সাংসদের অনুসারি হিসেবেই পরিচিত। তবে, জেলাবাসীর দাবি পুলিশের এমন অভিযান বহুমখি হোক। সর্বত্র যেসব চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু রয়েছে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হোক।
এদিকে, সার্বিক দিক বিবেচনা করে শহর ও শহরতলীতে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থের জেলা পুলিশ সুপারের সাম্প্রতিক কর্মকা-ে সাধারণ মানুষদের অনেকেই স্বস্তিবোধ করছেন। তারা এমন অভিযান চলমান রাখার দাবিও জানিয়েছেন। তাদের মতে, এমন অভিযান চলমান রাখলে নারায়ণগঞ্জ একটা সময় শান্তির নগরীতে পরিণিত হবে। আর সেটাই চাওয়া নগরবাসীর।

এছাড়া গ্রেফতার আতঙ্কে শামীম ওসমানের সমর্থক সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন চাঁদাবাজি মামলায় পলাতক রয়েছে। অনেকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ছেড়ে ভালো হয়েছে যাচ্ছে আবার কেউ কেউ আতœগোপনে গেছে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ