আজ শুক্রবার, ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গোপন করলেন কামাল

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম পরিচিত ছিলেন ‘জাহাঙ্গীর কমিশনার’ নামে। তিনি নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার কমিশনার ছিলেন। সে শহর বিএনপির সভাপতি থাকাকালে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এটিএম কামাল। একসঙ্গে বিভিন্ন সভা সমাবেশে তাদের দেখা যেতো। মৃত্যুবার্ষিকীতে সহযোদ্ধাকে স্মরণ করেছেন পাশাপাশি কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন কামাল। তবে এরমধ্যেও একটি কথা গোপন করে গেছেন বা এড়িয়ে গেছেন বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
২০০৯ সালে নারায়ণগঞ্জ শহর বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতি পদে জাহাঙ্গীর আলম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। তবে সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে বেশ বেগ পোহাতে হয়েছিলো কামালকে। তার প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন আইনজীবী সরকার হুমায়ুন কবির ও মুহূরী সুরুজ্জামাল। দলীয় সূত্র জানায়, সে সময়ে সুরুজ্জামালকে সমর্থন দিয়েছিলেন এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। তিনি গোপনে সুরুজ্জামালের পক্ষে কাজ করতেন আর তার ছোট ভাই মহানগর যুবদল সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ তার অনুগতদের নিয়ে প্রকাশ্যেই সুরুজ্জামালের পক্ষ নেন। তবে সভাপতি পদে নির্বাচিত হওয়া জাহাঙ্গীর আলম সেক্রেটারী পদে কামালকেই সমর্থন দিয়েছেন। যা এটিএম কামাল নিজেই তার লেখায় স্বীকার করেছেন।
দলের নেতাকর্মীরা জানান, বরাবরই এটিএম কামালকে পছন্দ করতো না তৈমূর বলয়। যদিও নানা কারনে দলের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে তার গ্রহনযোগ্যতা ছিলো। বিশেষ করে ওয়ান ইলেভেনের সময়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য অনশন করে কেন্দ্রে সহানুভুতি পান কামাল। তবে এ জন্য তাকে খেসারতও দিতে হয়েছে। তার ভাষায়, এ অনশন করার কারনে একটি মামলার জামিন বাতিল করে তাকে জেলে নেয়া হয়।
গতকাল প্রকাশিত একটি লেখায় সেবার শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হওয়ার ক্ষেত্রে জাহাঙ্গীর কমিশনারের অবদান স্বীকার করলেও অন্যসব তথ্য গোপন করে গেছেন এটিএম কামাল। এমনকি শহর কমিটির বিরুদ্ধে মহানগর বিএনপির বর্তমান সভাপতি আবুল কালাম এর ছায়ায় পাল্টা কমিটির বিষয়টিও তিনি লেখায় আনেননি। বিশ্লেষকরা বলছেন, হয়তো কৌশলের কারনে ও বর্তমান পরিস্থিতির কারনে এমনটা করেছেন।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ