আজ শুক্রবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

খোকা পারে’ মান্নান হারে’ কায়সার ঝিমায়!

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
জাতীয় পার্টি থেকে যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় নেতা ও নারায়ণগঞ্জ ৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা অনেক কিছুই করতে পারেন। তিনি দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের পদ থেকে পদত্যাগ করতে পারেন। তাও দেখা গেছে। অপরদিকে একাদশ জাতীয় নিবার্চনে বিএনপি থেকে মনোনীত প্রার্থী হয়ে নিবার্চনে হেরে গেছেন ও পূর্বে থাকা উপজেলা চেয়ারম্যান পদ হারিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নিবার্হী সদস্য আজাহারুল ইসলাম মান্নান। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচারণা করা আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য কায়সার হাসনাত নিবার্চনের পর ঝিমিয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে একাধিক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর কাছ থেকে। দেখা যাচ্ছে না কোথাও কোন কর্মসূচি করতে।

জানা যায়, ৯ মে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাংগঠনিক এক নির্দেশে আট নেতাকে প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে পদোন্নতি দেওয়ার পরই পদত্যাগের ঘোষণা দেন জাতীয় পার্টির সিনির যুগ্ম মহাসচিব খোকা।

২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে জয়ে হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার। এরপর স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েও একাদশ জাতীয় নিবার্চনে ভোটের মাঠে হেভীওয়েট প্রার্থী ছিলেন আব্দুল্লাহ আল কায়সার। তবে তিনি তা দীর্ঘ করতে পারেননি।

এর আগে মহাজোটের আসন ভাগাভাগির জটিল সমীকরণে ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে বিনা প্রতিন্দ্বদ্বিতায় এমপি হন জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা।

খোকা এমপি হওয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগ তৃনমূল নেতা-কর্মীরা কাঙ্খিত মূল্যায়ন না পাওয়ার অভিযোগ উঠে। যার ফলে এ আসনে জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী দেয়ার দাবি তোলা হয়। একাদশ জাতীয় নিবার্চনে আব্দুল্লাহ আল-কায়সার আওয়ামীলীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নিবার্চন করেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা সরে না দাঁড়ালে দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়ে ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। পরে কায়সার নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ান।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও) আসন থেকে নির্বাচন করার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন আজহারুল ইসলাম মান্নান। তিনি কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁও থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। এর অগে মান্নানকে তৃতীয়বারের মত গত ৯ জুলাই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লুৎফুন নাহার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উপজেলা পরিষদ আইনে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ