সংবাদচর্চা অনলাইনঃ
নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের সাংসদ সেলিম ওসমান বলেছেন, আমাদের খানপুর ৩শ’ শয্যা হাসপাতালের নামে অনেক বদনাম রয়ে গেছে। আমরা সে সব বিষয় গুলো আলোচনা করে দেখলাম। হাসপাতালের কোন মালামাল মেরামত করার জন্য টেন্ডার করা হলে দেখা যায় সেই মালটি নেই। সেই মালটিতে আমরা খুঁজে পাই না। হাসপাতালের পুরো এলাকা সর্ম্পন্ন সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। কিন্তু দেখা যায় যেই সমস্থ এলাকা গুলো দিয়ে পাচার হয় সেই সমস্থ এলাকার সিসি ক্যামেরা গুলো নষ্ট।
রোববার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ৩শ’ শয্যা হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্য এ তিনি একথা বলেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সেলিম রেজা, সিভিল সার্জন ডা. ইমতিয়াজ আহম্মেদ, খানপুর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.শামসুদ্দোহা সরকার সঞ্চয়। নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি খালেদ হায়দার,
এমপি সেলিম ওসমান আরও বলেন, অনেক কষ্ট করে আমরা করোনা টেষ্টের জন্য পিসিআর ল্যাব স্থাপন করেছি। কিন্তু পিসিআর ল্যাবে করোনা টেষ্ট করার জন্য যে কিট প্রয়োজন সেই কিট সারা দেশে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। কিট ঢাকা থেকে আসার অপেক্ষা করা হচ্ছে তবে গত ৪ দিন ধরে নারায়ণগঞ্জের মানুষ টেষ্ট করতে পারছেন না। সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা আতংক সৃষ্টি হয়েছে যে কিট কোথায় যায়।
সেলিম ওসমান হাসপাতাল প্রসঙ্গে বলেন, সত্যি কথা বলতে ৩শ’ শয্যা হাসপাতাল এখন ৩শ’ শয্যা নাই। কারণ ৫শ’ শয্যা একটা হাসপাতাল নিমার্ণের জন্য হাসপাতালের একটা অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। নানা সমস্যার জন্য এখনো নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। এখন অনেকের মনে প্রশ্ন আসে ৩শ’ শয্যা হাসপাতালে ৫০ জন রোগী কেনো। করোনা হাসপাতাল ও সাধারণ হাসপাতালের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। সাধারণ রোগীদের আমরা করোনা হাসপাতালে আসতে দিচ্ছি না। কারণ সাধারণ রোগাীরা যদি এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে তাহলে তাদের করোনা হয়ে যেতে পারে। এ জন্য রোগী যদি হাসপাতালে আসতে চায় তাদের বলা হচ্ছে আমরা শুধু করোনা টেষ্ট সংক্রন্ত বিষয়ে আপনাদের সহযোগিতা করছি।
এর আগে ১৭ জুন থেকে কোভিড রোগী শনাক্তে খানপুরে ৩০০ শয্যার হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে কিট স্বল্পতা দেখা দেয়। এতে করে গত চার দিন ধরে করোনা পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে খানপুর হাসপাতালের করোনা ল্যাবে।
জানা গেছে, গত ৬ মে সাংসদ একেএম সেলিম ওসমান আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতালের ল্যাব উদ্বোধন করে ছিলেন। এর পর থেকে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হয়। তখন এমপি সেলিম ওসমান বলে ছিলেন, নমুনা পরীক্ষা করার জন্য স্থাপন করা পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) মেশিনসহ অত্যাধুনিক ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। আপাতত এই করোনা হাসপাতালে ৯০টি পরীক্ষা করা সম্ভব। লোকবল বাড়লে ১৮০-২০০টি পর্যন্ত পরীক্ষা করা যাবে। এখান থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাওয়া যাবে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল।