আজ মঙ্গলবার, ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কিমের ‘আক্রমণাত্মক’ পদক্ষেপের হুমকি

নিজ দেশের ‘সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘ইতিবাচক ও আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ’ নেবেন বলে জানিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন। আজ সোমবার ক্ষমতাসীন দলের সম্মেলনে তিনি ভাষণ দিয়েছেন। ওই ভাষণে তিনি এ কথা বলেছেন।

বছরের এই সময়ে উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দলের এ ধরনের সম্মেলনের ঘটনা বিরল। তবে কিম ‘আক্রমণাত্মক’ পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানালেও তার ধরণ সম্পর্কে কোনো ব্যাখ্যা দেননি।

উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু নিরস্ত্রিকরণ বিষয়ক আলোচনা বন্ধ করে পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা আবার শুরু করতে পারে বলে যখন জল্পনা চলছিল তখন কিম এ ধরনের কথা বললেন।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, উত্তর কোরিয়া আলোচনা বন্ধ করে দিলে ওয়াশিংটন ‘মারাত্মকভাবে হতাশ’ হবে।

সম্প্রতি পিয়ংইয়ং ঘোষণা করেছিল, চলতি বছরের শেষ নাগাদ যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু আলোচনায় উল্লেখযোগ্য ছাড় দিতে ব্যর্থ হলে উত্তর কোরিয়া ‘ভিন্ন ব্যবস্থা’ নিতে বাধ্য হবে।

গতকাল রবিবার মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ওব্রায়েন এক বক্তব্যে বলেন, উত্তর কোরিয়া বড় ধরনের সমরাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর সিদ্ধান্ত নিলে তা ওয়াশিংটনের জন্য হতাশা সৃষ্টি করবে।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখনো কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার ব্যাপারে উত্তর কোরিয়াকে রাজি করাতে চায়।

জানা গেছে, আলোচনা শুরু করার জন্য উত্তর কোরিয়ার বেধে দেয়া সময়সীমা যখন শেষ হতে যাচ্ছে তখন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ আজ সোমবার চলমান অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে।

উত্তর কোরিয়ার ওপর আরোপিত কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা যায় কিনা তা নিয়ে আলোচনা করতে রাশিয়া ও চীনের প্রস্তাবে এ বৈঠক হবে। তবে ওয়াশিংটন এর আগে উত্তর কোরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞায় ছাড় দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ