আজ সোমবার, ২৭শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

না’গঞ্জ কারাগারে গার্মেন্টস এবং জামদানী কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের মুনাফা পাচ্ছে কারাবন্দিরা

কারাগারে গার্মেন্টস

কারাগারে গার্মেন্টস

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়নগঞ্জ কারাগারের ভেতরে প্রায় দেড়হাজার বন্দি রয়েছে। বিভিন্ন মেয়াদে এসব বন্দিরা কারাগারে সাজা ভোগ করছে। এধরনের প্রায় ৫ শ’ কয়েদির আর্থিক সুবিধা প্রদান এবং কর্ম সংস্থানের জন্য জেলা প্রশাসনের উদ্দ্যেগে কারাগারের অভ্যন্তরে নির্মিত হয়েছে রিজিলিয়ান্স গার্মেন্ট এবং জামদানী শাড়ি উৎপাদনের কারখানা। এ দুটি কারখানায় উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করে অর্জিত মুনাফা প্রদান করা হচ্ছে কর্মরত কয়েদি শ্রমিকদের মধ্যে।

 

কারাগারে গার্মেন্টস

 

দুইজন কয়েদির সাথে কথা বলে জানা যায়
২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে নারায়নগঞ্জ জেলা কারাগারে নির্মান করা হয় রিজিলিয়ান্স গার্মেন্টস এবং জামদানী শাড়ী তৈরীর কারখানা।এ কারাগারে দেড়হাজার কয়েদির মধ্যে প্রায় ৫ শ’ শ্রমিক এ দুটি কারখানায় কাজ করছেন। বাংলাদেশে কারাগারের মধ্যে এ ধরনের গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং শাড়ীর কারখানা স্থাপন এটাই প্রথম হওয়ায় সাজা প্রাপ্ত কয়েদিরা পণ্য উৎপাদনের কাজে নিয়োজিত থেকে নিজেরা সংশোধন হওয়ার সুযোগের সাথে সাথে কাজের মজুরি নিয়ে আর্থিক সুবিধা পাচ্ছে এবং পরিবারকে কারাগারের ভেতরে অর্জিত অর্থ পাঠাতে পারছে।

 

কারাগারে গার্মেন্টস

জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়ার বক্তব্য
কারাগারের অভ্যন্তরে এ দুইটি প্রতিষ্ঠান স্থাপনের উদ্দ্যোক্তা জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া জানালেন তার এ উদ্দ্যেগের সাথে সহযোগিতা করেছেন কারাগার কর্তৃপক্ষ এবং সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং স্থানীয় সমাজসেবীরা। তিনি জানান, ৬ হাজার বর্গফুটের এ গার্মেন্টস এবং জামদানী কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে।আর এসব পণ্য বিক্রি করে অর্জিত লভাংশের ৫০% ভাগ কর্মরত কয়েদি শ্রমিকদের মধ্যে প্রদান করা হয়।
প্রশংসিত এমন সামাজিক উদ্দ্যোগ অন্যান্য কারাগার গুলোর মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করে কারাগারের বন্দিদের মধ্যে আর্থিক আয়ের পথ সৃষ্টি করে তাদের সংশোধিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করবে এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।