আজ শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কাঁঠালে নজর কম

নাদিম হাসান:
গত বছরের চেয়ে এবার কাঁঠালের ফলন বেশি হয়েছে কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে মাথায় হাত শহরের চাড়ার গোপ এলাকার পাইকারী ব্যবসায়িদের। বিক্রি করতে না পারায় আড়তের ভেতরেই কাঁঠাল পঁচে নষ্ট হচ্ছে। কেউ বা তিন ভাগের একভাগ দামে বিক্রি করছে। এছাড়া বাজারে চাহিদা না থাকায় তা কিনেও পুঁজি হারানোর শঙ্কায় পড়েছে পাইকাররা।

সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের বিভিন্ন এলাকার খুচরা ফল ব্যবসায়িরা পাইকারী দরে মৌসুমি ফল কিনতে আসতো কালির বাজার চাড়ার গোপ এলাকায়। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার এই পাইকারী বাজারের কাঁঠালের আড়তগুলোতে দেখা গেল ভিন্য চিত্র। আড়তে ক্রেতার সংখ্যা একেবারেই কম। এতে বিপাকে পরছেন কাঁঠাল ব্যবসায়িরা । এক একটি আড়তে প্রায় পাঁচ থেকে ৬শ’ কাঠাল রয়েছে তবে বেচা বিক্রি না থাকায় তা এখন পচন ধরেছে। তাই এবার পুঁজি হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন অনেক পাইকারী কাঁঠাল ব্যবসায়িরা।

এ বিষয়ে চাড়ার গোপ এলাকার,কাঠাল ব্যবসায়ী আব্দুল আলী জানান, প্রতিবছর তিনি ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা কাঁঠাল বিক্রি করেন। এবার ফলন বেশি হওয়ায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শহরের পাইকারী বাজারে প্রচুর পরিমান কাঁঠাল এসেছে । তবে খুচরা ব্যবসায়িদের আগ্রহ না থাকায় বাধ্য হয়ে ১শ’ পঞ্চাশ টাকার কাঁঠাল আঁশি টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে এবার কাঁঠাল বিক্রি করে লাভ করা তো দূরের কথা চালান নিয়েই চিন্তায় আছি।

চান মিয়া জনান, আড়তে প্রায় ৮শ’ কাঁঠাল রয়েছে। তবে ক্রেতার সংখ্যা একেবারেই নেই । যাও কয়েক জন খুচরা ব্যবসায়ি আসছে তারা বড় কাঁঠালগুলোর সর্বোচ্চ দাম হাকান ১শ’ থেকে একশ বিশ টাকা আর ছোট সাইজেরগুলো মাত্র ষাট সত্তর টাকা। এতে সে কাঁঠাল বিক্রি করতে রাজি হননি। এখন কাঁঠাল পচে-গলে যাওয়ায় তা আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছেন। বাকিগুলো গৃহপালিত পশুর খাবার হিসেবে ব্যবহার করছেন।

খুচরা ব্যবসায়ি আরিফ বলেন, মৌসুমি ফল বিক্রি করেই তার সংসার চলে। প্রতি বছর এ সময় চাড়ার গোপ থেকে পাইকারী দরে কাঁঠাল কিনে ভ্যানে করে ফতুল্লায় ও এর আশ-পাশের এলাকায় কাঁঠাল বিক্রি করতাম। তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জন্য হাতের অবস্তা অনেক খারাপ। তাই এবার আর কাঁঠাল কিনি নাই আগের ১ মন আম কিনা ছিল তাই ঠিক মত বিক্রি করতে পারছিনা। ব্যবসা একদম মন্দা যাচ্ছে। তাই নতুন করে আর চালান খাটাতে চাই না।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ