আজ শুক্রবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টিহীনতায় চাঁনমারি ইসদাইর বাসী চরম দুর্ভোগে

মনি ইসলাম:
চলতি বছরের বৃষ্টি মৌসুমকে অপেক্ষা করে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলাধীন ইসদাইর ও ফতুল্লা এলাকার মানুষদের মাঝে অস্থীরতা বিরাজ করছে। দিনের পর দিন ড্রেনের ময়লা পানির মাঝেই বসবাস করছে চাঁনমারি ইসদাইর এলাকাবাসী। একটু বৃষ্টি হলেই ড্রেন আর বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায় ইসদাইর এলাকাটি।

ময়লা পানির মধ্যে রয়েছে ৩২ টি বাড়ি । প্রতিটি বাড়িতেই হাটু পরিমান পানি । এলাকাটিতে তিনটি বিদ্যালয় রয়েছে। প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার ছাত্র-ছাত্রীরা ড্রেনের ময়লা পানি দিয়ে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে ।

এলাকাবাসি জানায় , সুস্থ্যভাবে বেঁচে থাকার জন্য যে মটরের খাবার পানি পান করে থাকে তা দূষিত হয়ে গেছে। ছোট-বড় সবার হাত পায়ে চর্র্মরোগ, ডায়রিয়া থেকে শুরু করে নানা রকম জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে । ২৪ ঘন্টা তাদের নোংরা পানিতে থাকতে হচ্ছে । তারা একটি নোংরা পরিবেশে বসবাস করছে ।

স্থানীয় সুবাস বাবু সংবাদচর্চাকে জানায় ,তার বাড়িতে অনেক পানি ছিল আরো পানি বাড়ছে বলে বাড়িঘর ভেঙ্গে আরো উচুঁ করছে নিজেদের থাকার জন্য । বাড়িতে যারা ভাড়া থাকত সবাই বাসা ছেড়ে চলে গেছে অন্য জায়গাতে । সংবাদচর্চা তার কাছে জানতে চায় তাদের এই নোংরা পানিতে বসবাস করার কষ্ট দেখে এই এলাকার উন্নয়নরত কর্মকর্তা কেউ কি সাহায্য করেছে কি না ? তিনি তার উত্তরে বলেন সিটি কর্পোরেশনে আমরা ড্রেন করার জন্যও টাকা দিয়ে আসছি। প্রতি শতাংশ ২,০০০ করে দিয়েছি এক বছর আগে মুক্তিযোদ্ধা ফরিদার আপাকে। কারণ এভাবে আর চলতে পারছি না ।

মু্িক্তযোদ্ধা ফরিদা বলেন, পরিস্থির কারণে আমরা এরকম একটি জটিল জায়গাতে বসবাস করছি । এ এলাকায় এক সময় আর্মিরা যখন রাস্তাগুলো তাদের দখলে নিয়ে যায় ঠিক তখন থেকেই ড্রেনের ময়লা পানির সমস্যা সৃষ্টি হয় । রাস্তার পাশে একটি দেওয়াল দেওয়ার কারণে । প্রথমে যখন ময়লা পানির সমস্যা সৃষ্টি হয় আমাদের তখন এতটা সমস্যা হয়নি বর্তমান সময়ে যা হচ্ছে । কারণ রেললাইনের পাশে ড্রেনের ময়লা পানি য্ওায়ার জন্য আরো একটি রাস্তা ছিল । কিন্তু রেললাইনের জায়গাটা যখন বন্ধ হলে তখন ড্রেনের ময়লা পানিতে ভরে যায় এলাকাটিতে । প্রতিটি বাড়িতে ময়লা পানি ঢুকে যায় । তখন আমি হেডকুয়াটারে যোগাযোগ করি কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে আমি কোনো উত্তর না পেয়ে দারিয়ে থেকে দ্ওেয়াল ভেঙ্গে পানি সরানের ব্যবস্থা করি।কারন তখন এত পরিমান পানি হয়েছিল মানুষ যে হাটবে সে পরিমান জায়গ্ওা ছিল না ।প্রায় ৪ মাস মানুষে এই ময়লা পানিতে ভুকছে আর পানিও দিনে দিনে বাড়ছে । আমি দেওয়াল ভাঙ্গার পরও আর্মিরা আমার সাথে কোনো রকম ঝামেলা করেনি । আর্মিরা তখন আমাদের এলাকাবাসীর সাথে একটি সমঝোতায় এসেছিল ।

কিন্তু গত কয়েক মাস যাবদ আর্মিরা দেওয়াল ভাঙ্গা অংশটুকু বন্ধ করে দেন । বন্ধ হওয়ার কারণ জানায় আর্মিরা এলাকা থেকে ট্রাক ভরে মাটি নিচ্ছিল সরকারের ৫০০ কোটি টাকা কোনো একটি প্রজেক্টের কারনে । আরো দেখা যায় আর্মিদের যে জায়গা রয়েছে সে জায়গায় পুকুর খনন করছে, মাছের চাষ করবে ও একটি গার্ডেন করবে আর্মিরা জানায় আমাকে । তখন আর্মিরা আমাকে বলে এলাকার দায়িত্ব নিতে । তা না হলো এলাকার লোকজন ড্রেনের ময়লা পানির সমস্যায় ভুগবে । আমাকে আর্মিরা আরো জানায় , রাস্তাটা আর্মিদের। আমরা এলাকাবাসীরা জানতাম যে, না রাস্তাটা আর্মিদের ।

এলাকাবাসীর ধারণা ছিলো রাস্তাটা হবে ইউনিয়নের ।কিন্তু দেখা গেল এলাকাবাসীরা যে জায়গাতে বসবাস করছিল তা ইউনিয়রে মধ্যেও পরেনি তখন এলাকাবাসীরা সিটি কর্পোরেশনের সাথে যোগাযোগ করে । ফরিদা আরো বলেন, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আইভি জানেই না যে,এ এলাকাটি সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে পরেছে ।

সিটি কর্পোরেশন বলেছে এ জায়গাটির জন্য টেন্ডার পাশ হয়েছে ।রাস্তাটির ড্রেন নির্মাণ করার জন্য ৩ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা রবাদ্দ হয়েছে । কিন্তু আমি জানি না যে, টেন্ডার পাশ হয়েছে কিনা না আমরা এখনো টেন্ডার হাতে পাইনি।

নাসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এহেতেশামুল হক বলেন, আমি আসলে এ বিষয় জানি না । আমি আগে ইসদাইর জায়গা সম্পর্কে ভালো ভাবে জেনে নেই তারপর বলতে পারবো ।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ