আজ শনিবার, ২৭শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কমিটি বাণিজ্যের আশঙ্কা

সংবাদচর্চা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটিতে বড় ছোট পদ পেতে নড়েচড়ে বসেছে নেতাকর্মীরা। সক্রিয় থাকার প্রমাণ নিয়ে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের দৌড়গোড়ায়। বিশেষ করে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক সহ সম্পাদক মন্ডলীর পদগুলো নিয়েই যত মাতামাতি নেতাকর্মীদের। নবীন প্রবীনদের এমন ব্যস্ত ছোটাছুটি এখন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিত্যদিনের চিত্র।

তবে কেন্দ্রীয়ভাবে বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা বেশ নড়বড়ে। নারায়ণগঞ্জে এর অবস্থা আরও করুণ। কয়েক মাস পূর্বে আদালতের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেয়া হয়েছে। আর কয়েকদিন পূর্বে বিলুপ্ত করা হয়েছে জেলা বিএনপির কমিটি। যখন দলের এই দশা তখন নেতাকর্মীরা পদ লুফে নিতে শুরু করেছেন কাদা ছোড়াছুড়ি। তরুণ থেকে শুরু করে অভিজ্ঞ জেষ্ঠ্য নেতৃবৃন্দও শামিল হয়েছেন এতে। এমন বেগতিক অবস্থায় তৃণমূল নেতাকর্মীরা এমন একজনকে খুঁজছে যে এই সংকটকালে দলের হাল ধরতে পারবে।
গত ২৮ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞার নির্দেশ দেন আদালত। কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে পদবাণিজ্যের অভিযোগ এনে ওয়ার্ড পর্যায়ের দুই নেতার দায়ের করা মামলায় আদালত এ নির্দেশ দেন। এরপর চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় নির্দেশে জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৭ সালে কাজী মনিরুজ্জামানকে সভাপতি ও অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে সাধারণ সম্পাদক করে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।

জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার পর থেকে নতুন কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের পদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন আলোচিত বেশ কয়েকজন নেতা। সভাপতি পদের এই তালিকায় রয়েছেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাড. তৈমুর আলম খন্দকার, সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, সাবেক সাংসদ মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু জাফর, একই কমিটির সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম মান্নান। কমিটিতে জায়গা পেতে চলছে একে অপরের বিরুদ্ধে কাঁদা ছোড়াছুড়ি শুরু করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনুসারীদের দেয়া স্ট্যাটাসেই তার প্রমাণ মেলে।

এদিকে সাধারণ সম্পাদকের জন্য কেন্দ্রে লবিং চালাচ্ছেন বিলুপ্ত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজীব। তবে এই পদে অধ্যাপক মামুন মাহমুদ ফিরে আসারও সম্ভবনা রয়েছে। বিগত কমিটিতে সাংগঠনিক কার্যক্রম ও ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবে মামুন মাহমুদ পূর্বের পদেই থেকে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। বাদ পড়তে পারেন কাজী মনিরুজ্জামান। তিনিও সভাপতি পদে বহাল থাকতে জোরচেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে কমিটি বাণিজ্য হওয়ার আশঙ্কা করছেন তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি যারা অফিসে বসে দল চালায় তাদের সভাপতি-সম্পাদক পদে দেখতে চাই নাই। অনেক টাকাওয়ালা লোক এবারও পদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ।তারা কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে ধরণা দিচ্ছেন।