আজ মঙ্গলবার, ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কংগ্রেস সহিংসতার আগুন ছড়াচ্ছে : মোদি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, কংগ্রেস এবং তার সমর্থকরা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সারাদেশে সহিংসতা ছড়াচ্ছে। এই সহিংসতা কারা ছড়াচ্ছে; তা তাদের পোশাক দেখলে সহজেই চিহ্নিত করা যায়।

রোববার ঝাড়খণ্ডের দুমকায় একটি নির্বাচনী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আসামে চলমান সহিংসতা থেকে সরে আসায় সেখানকার জনগণকে অভিনন্দন জানান তিনি।

কংগ্রেসের সমালোচনা করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাম জন্মভূমির উপর সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে পাকিস্তান সরকার বিদেশে ভারতীয় দূতাবাসগুলির বাইরে যে বিক্ষোভের আয়োজন করেছিল; কংগ্রেসও তাই করছে।

‘‘যারা সহিংসতা ছড়িয়ে দিয়েছে তাদের কাছ থেকে দূরে থাকার জন্য আমি আসামের আমাদের ভাই ও বোনদের অভিনন্দন জানাই। তারা শান্তিপূর্ণ উপায়ে তাদের বক্তব্য রাখছে। কংগ্রেস এবং তার সমর্থকরা আগুন ছড়াচ্ছে। তাদের কথা না শুনলেই তারা অগ্নিসংযোগ শুরু করে।’’
দেশটির উত্তর-পূর্বের কিছু অংশে বিশেষত মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডে এখনো কারফিউ চালু রয়েছে। পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে ২০১৪ সালের পর যারা এসব অঞ্চলে এসেছে তারাই নতুন আইনটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে।

তবে পুলিশের দাবি গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই আসামের বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে, কিন্তু আজও ওই রাজ্য থেকে আরও দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

এর আগে, আসামের বিক্ষোভে তিন ব্যক্তি প্রাণ হারান, যেখানে অনেকেই উদ্বিগ্ন যে এই নতুন আইনটি বাংলাদেশ থেকে আগত অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হতে পারে।

সেই সহিংসতা পশ্চিমবঙ্গসহ দিল্লিওতে ছড়িয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে এখনো বিচ্ছিন্নভাবে সহিংসতা চলছে রয়েছে। গতকাল মুর্শিদাবাদে ছয়টি ট্রেনে আগুন দেয়া হয়। এছাড়াও হাওড়ায় প্রায় ১৫টি বাসে আগুন দেয়া হয়।

পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করছেন অনেকে। এরই মধ্যে সেখানকার কয়েকটি জেলায় সহিংসতা বন্ধে ইন্টারনেট পরিষেবা বাতিল করেছে রাজ্য সরকার।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ