বৃষ্টির পরে মালাহাইডে সূর্য উঁকি দিয়েছে। আবার মেঘ বৃষ্টি ঝরিয়েছে। শেষ পর্যন্ত মাঠে গড়িয়েছে ম্যাচ। বাংলাদেশও ব্যাটিংয়ে দারুণ শুরু হয়েছে। মধ্যে একটু কালো মেঘ জমেছে। তবে দারুণ এক জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। লাকি সেভেনে এসে শিরোপা খরা ঘুচিয়েছে টাইগাররা। নবম নকআউট ম্যাচে এসে প্রথম জয় পেয়েছে। প্রথম ফাইনাল জিতে হয়েছে চ্যাম্পিয়ন।
এর আগে বাংলাদেশ ছয় ফাইনালে খেলে জিততে পারেনি একটিও। বৃষ্টির কারণে এ ম্যাচে মাঠে না গড়ালে চ্যাম্পিয়ন হতো বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা খেলেই জিততে চেয়েছিল। ভক্তরাও বৃষ্টির কল্যানে চ্যাম্পিয়ন হতে চায়নি।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে উইন্ডিজ দুর্দান্ত শুরু করে। এরপর আসে বৃষ্টি। ম্যাচ ২৪ ওভারে নামিয়ে আনা হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৫২ রান। শাই হোপ ৭৪ এবং আমব্রিস ৬ রান করেন। বৃষ্টি আইনে টাইগারদের সামনে দাঁড়ায় ২১০ রানের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য মাহমুদুল্লাহ-মোসাদ্দেক ৭ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে তুলে ফেলেন।
বড় রানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাট হাতে দারুণ শুরু করে। দুই ওপেনার তামিম এবং সৌম্য ভালো শুরু করেন। তুলে ফেলেন ৫৯ রান। এরপর তামিম ফেরেন ১৮ রান করে। সাব্বির শূন্য করে আউট হন। তবে সৌম্যর ৪১ বলে নয় চার ও দুই ছয়ে গড়া ৬৬ রানের ইনিংসে দলের জয়ের ভিত গড়ে যায়। পরে মুশফিক ৩৬ এবং মিঠুন ১৭ রানে আউট হলে জয় নিয়ে একটু শঙ্কা তৈরি হয়।
তবে মাহমুদুল্লাহ-মোসাদ্দেক দারুণ এক জুটি গড়ে দলকে জিতিয়ে ফেরেন। তারা দু’জন গড়নে ৭০ রানের জুটি। মাহমুদুল্লাহ ২১ বলে ১৯ রানের এক সাবধানী ইনিংস খেলেন। অপরপ্রান্তে মোসাদ্দেক খেলেন ২৪ বলে ৫২ রানের দারুণ এক ইনিংস। তিনি পাঁচটি ছক্কা এবং দুটি চারের মার মারেন। তাকে বিশ্বকাপের দলে রাখায় কথা ওঠে। তিনি এই ইনিংসে তার দারুণ জবাব দিলেন।