আজ শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ওসমানপন্থী বলেই কি

সংবাদচর্চা রিপোর্ট: নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের দুই মেরুর রাজনৈতিক দ্বন্দ বহুদিনের। দল ক্ষমতায় থাকার পরও দলীয় নেতাকর্মীদের পুলিশি হয়রানী যেনো বিভাজনকে আরও মজবুত করে দিয়েছে। নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে তৈরী হওয়া মেরুকরণে ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে দক্ষিণ মেরু এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

দক্ষিণ মেরুর প্রভাবশালী নেতা ডা: সেলিনা হায়াত আইভী ও উত্তর মেরুর প্রভাবশালী নেতা সাংসদ শামীম ওসমানের দ্বন্দ বহুদিনের। তা নারায়ণগঞ্জ বাসীর কাছে স্পষ্ট হয়েছে হকার ইস্যূতে সংর্ঘষের পর। কিন্তু বারংবার আইভীকে বোন বলে সম্মোধন করলেও দ্বন্দটা বিদ্যামান ছিলো।

এদিকে উত্তর মেরুর প্রভাবশালী নেতা সাংসদ শামীম ওসমান অনুসারীদের পুলিশী ধর পাকড়াও এ অনেকটাই আতঙ্কে উত্তর মেরুর নেতারা। পাগলা এলাকার এমপি বলে আখ্যায়িত টেনুগাজি থেকে শুরু রেহায় পায়নি কাউন্সিলর বাবু ওরফে ডিসবাবুও। এর মাঝখানে শামীম ওসমানের ঘনিষ্টজন শাহ নিজামের নামে থানায় জিডি হবার পর অনেকটা থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিলো নেতাকর্মীদের মাঝে।

বাংলা নববর্ষের দিন পুলিশ সুপারের দাওয়াতে সাংসদ শামীম ওসমান পুলিশ সুপারের বাসভবনে উপস্থিত হলে অনেকটাই স্বস্থিতে ছিলো ওসমানপন্থী আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা। কিন্তু চাদাঁবাজির মামলায় কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু ওরফে ডিসবাবু গ্রেফতার হবার পরে আবারও আতঙ্ক কাজ করছে তাদের মাঝে।

উত্তর মেরুর তুলনায় দক্ষিন মেরুর আওয়ামীলীগ নেতারা আতঙ্কে নয় বরং স্বস্থিতে আছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে কি ওসমানপন্থী হওয়াতেই গ্রেফতার হতে হচ্ছে তাদের এমনটাই প্রশ্ন এখন জনমনে।

ঘটনাসূত্রে প্রকাশ, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে উত্তর মেরু-দক্ষিণ মেরু বিভাজনের সৃষ্টি প্রয়াত দুই নেতা আলী আহমদ চুনকা ও একেএম সামসুজ্জোহার সময় থেকে। বংশ পরম্পরায় সেই বিরোধ লালন করে এসেছেন ডা: সেলিনা হায়াত আইভী ও একেএম শামীম ওসমান। এই বিরোধের সূত্র ধরে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগে গড়ে উঠেছে দুইটি বলয়। শামীম ওসমান নিয়ন্ত্রিত উত্তর মেরু ও আইভীর নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের নিয়ে গড়ে উঠেছে দক্ষিণ মেরু।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ