রেদওয়ান আরিফ
করোনা প্রাদুর্ভাবের পর থেকে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বেড়েছে। নিজেকে সুরক্ষা রাখতে মানুষ তার সাধ্যের মধ্যে থেকেই ক্রয় করছে মাস্ক, গ্লাভস, বিভিন্ন ধরনের হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ বেশ কিছু পণ্য। শহরের ফুটপাত থেকে শুরু করে নগরীর রাস্তার দু’পাশে বসে এগুলো বিক্রি করে আসছে এক শ্রেনীর হকাররা। তবে ফুটপাতের এই সুরক্ষা সরঞ্জাম কতোটুকু মান সম্মত এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সচেতন মহলে। অন্যদিকে, নিম্নমানের এই পণ্য বেশি দামে বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে সাধারণ মানুষের।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে পুঁজি করে এক ধরনের অসাধু ব্যবসায়ী নিম্নমানের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী তৈরী করছে। তাদের কাছ থেকে এনে এগুলো বিক্রি করছে ফুটপাতের হকাররা। তারা নিজেরাও জানেনা এগুলো কতোটুকু মানুষের জন্য কার্যকর। সাধারণ মানুষও জানেনা এগুলা থেকে কতোটুকু সুরক্ষা পাবে তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের ফুটপাতে এক শ্রেনীর হকাররা বিভিন্ন ধরনের হ্যান্ড স্যানিটাইজার সামগ্রী বিক্রি করছে। কোন কোম্পানির তা দেখে বোঝার উপায় নেই। বোতলের উপরে দেখা যায়নি কোনো কোম্পানির লেবেল। এমনকি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের লোগো। স্যানিটাইজারের মতো রঙ্গিন তরল পদার্থ বিক্রি করছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বলে। অসচেতন ক্রেতার তা নির্ভিঘ্নে কিনছে। নিম্নমানের এই পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে উচ্চ মূল্যে। প্রতিটি বোতল ৯০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০ টাকা মূল্যে বিক্রি করতে দেখা যায়। হকাররা ভুলভাল বুঝিয়ে এসব নিম্নমানের পণ্য মানুষের কাছে বিক্রি করছে। এব্যাপারে চাষাঢ়া এলাকার এক বাসিন্দার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ফুটপাত থেকে কয়েকদিন আগে ১৫০ টাকা দিয়ে একটি হ্যান্ড স্যানিটাইজার বাসার জন্য ক্রয় করেছিলেন। বাসায় আনার পর দুই দিন ব্যবহার করার পর হাতে এক ধরনের চুলকানী শুরু হয়েছে। এরপর থেকে তিনি আর ফুটপাত থেকে কোনো হকারের কাছ থেকে স্যানিটাইজার ক্রয় করেননি। তিনি আরো জানান, নামি দামী প্রতিষ্ঠানের পণ্যের দাম যেভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে সেগুলো কেনাও সাধ্যের বাইরে।
সচেতন মহলের মতে, মানবত্বকের সহনশীল মাত্রা অনুযায়ী এগুলো ব্যবহার করতে হয়। কোনো কারণে উপকরনের মাত্রা বেশি হলে ব্যবহারকারীর ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। পাশর্^প্রতিক্রিয়া থাকায় এ ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য শরীরে ব্যবহারের পরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এসব পণ্য ব্যবহারে ক্রেতাদের সচেতন হতে হবে। এবিষয়ে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে করে কোনো বিক্রেতা এসব ভেজাল পণ্য বিক্রি করতে না পারে।