সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
পাশেই বুড়িগঙ্গা নদী রয়েছে। অথচ প্রাণভরে শ্বাস নেওয়া তো দূরের কথা, উল্টো দূষিত পানির দুর্গন্ধ সহ্য করতে হয় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কের পাশের মানুষগুলোকে। তার উপর কয়েক বছর ধরে যুক্ত হয়েছে নতুন এক ভোগান্তি। এ সড়কে প্রবেশ করতে যেনো মনে হয় এটি ধুলার রাজ্য। সব মৌসুমেই এ ধুলার কবলে পরতে হয় মানুষজনকে।
গতকাল এ সড়কে ব্যাটারী চালিত ইজিবাইকে বসে কথা হয় ওই এলাকার বাসিন্দা দিদারুল আলমের সঙ্গে। তিনি জানান, এমননিতেই রাস্তা ভাঙ্গা। সেই সাথে ধুলার আক্রমন সহ্য করেই পথ চলতে হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, পঞ্চবটির পর থেকে শুরু করে পোস্তগোলা পর্যন্ত একই অবস্থা। তবে ফতুল্লা-দাপা এলাকায় ধুলা সবচেয়ে বেশী। স্থানীয়রা জানান, নদীর পাড়ে বালু বিক্রেতারা ট্রাকে ভরে বিভিন্ন এলাকায় বালু পাঠায়। ট্রাক চলার পথে সড়কে বালু পরলেও তা পরিস্কার করার জন্য কোন লোকবল নেই। এ বালু রাস্তায় জমাট হয়ে থাকে। বৃষ্টি হলে কাদা হয় আর রোদ উঠলে বাতাসে উড়ে। তার উপর সিমেন্টবাহী গাড়িগুলোতে ধুলার সৃষ্টি হয়। এ সড়কে মুন্সিগঞ্জ জেলার শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বৃহৎ যানবাহন, যাত্রী পরিবহন সহ ব্যাক্তিগত গাড়ি চলাচল করে। একটি গাড়ি যাওয়ার সাথে সাথে ধুলা উড়ে চোখমুখ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে যায়।
শ্যামপুরগামী এক যাত্রী জানান, এ ধুলা খেয়ে আমাদের দিন যায়। সব সময় রাস্তাটির বেহাল অবস্থা। ঠিক করলেও রাতের বেলায় লরি, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চলার কারণে গর্তের সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে পানি ছিটিয়ে ধুলা যেনো না উড়ে এমন কোন ব্যবস্থা চোখে পড়েনি।
পাগলা বাজারের এক মুদি দোকানী বলেন, ধুলা আর ময়লার কারণে এ সড়কের পাশে থাকা দোকানগুলোর অবস্থাও খারাপ। এগুলো দেখার কেউ নাই। আমরা ব্যক্তিগতভাবে যতটা পাড়ি পানি দেওয়ার চেষ্ঠা করি, কিন্তু এতেও তেমন কোন লাভ হয়না।