আজ শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

একাধিকবার সংবাদ প্রকাশের পরও টনক নড়ছেনা কর্তৃপক্ষের!

সংবাদচর্চা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন ২নং ওর্য়াডের মিজমিজি মাদ্রাসা রোড থেকে প্রত্যাশা মডেল স্কুল পর্যন্ত রাস্তাটির দীর্ঘ ৫ বছর ধরে সংস্কার না করায় চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে রাস্তাটির পথচারী মিজমিজি, কান্দাপাড়া ও মাহমুদপুর এলাকার অসংখ্য মানুষ ।

এই ব্যাপারে একাধিক বার দৈনিক সংবাদচর্চা পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। “৫ বছর ধরে সংস্কার নেই মিজমিজি মাদ্রাসা রোড” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরে কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বললে খুব শীঘ্রই কাজের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিলো। অথচ ওই আশ্বাসের কোন কাজই করেনি কৃর্তপক্ষ। যার ন্যায় রাস্তার কাজের কার্যকরী কোন উদ্যোগ নিতে এখনো পর্যন্ত দেখা যায়নি।

বেশ কয়েকবার নাসিক ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইকবাল হোসেনের কাছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী অভিযোগ করলে কাজ হবে বলে তিনি আশ্বাস দিচ্ছেন। অথচ রাস্তার সংস্কার কাজে কোন ভূমিকা রাখছেন না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

এই বিষয়ে জানতে চেয়ে সরোজমিনে ওই কাউন্সিলর ইকবাল হোসেনের কাছে যাওয়া হলে তিনি দৈনিক সংবাদচর্চার প্রতিবেদককে বলেন, এই রাস্তার সংস্কার কাজের অনুমতি পেয়েছি। আমি আশা করছি যে আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।

জানা যায়, সংবাদ প্রকাশের পর ঋতু পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে রাস্তাটির অবস্থা আরোও খারাপ হয়ে যাচ্ছে। বর্ষাকালে ওর্য়াডের মিজমিজি মাদ্রাসা রোড থেকে প্রত্যাশা মডেল স্কুল পর্যন্ত রাস্তাটি ছোট খালের মত ধারণ করে।
রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ তৈরি হয়ে গোটা সড়কটাই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই সড়কে কোন রিক্সা, ইজিবাইক চলাচল করতে চায় না।

তবে, আসলেও বেশি ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। আবার রাস্তাটির দু’পাশে কয়েল ও পলিথিন ফ্যাক্টরি থাকায় ফ্যাক্টরিগুলোর বর্জ্যও এই রাস্তায় ফেলা হয়। এতে করে পায়ে হেটে ও খুব সতর্কতার সাথে এই পথে চলাচল করতে হয় পথচারী, শিক্ষার্থী, অফিসগামী হাজার হাজার মানুষের। বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টি হলেই হাঁটু পানির মত হয়ে যায় এই সড়কটি। সেসময় স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা নিয়মিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে ব্যর্থ হয়, অফিসগামী মানুষেরা সময়মত তাদের কর্মরত প্রতিষ্ঠানে যেতে ব্যর্থ হচ্ছে।

এলাকাবাসী অভিযোগ, খুব কষ্টে সারা বছর এই পথ দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। বর্ষাকাল আসলে আরোও বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, সেসময় এই পথ দিয়ে চলাফেরা করা যায় না। প্রথমবার সংবাদ প্রকাশের ২দিন পর রাস্তাটি মাপতে দেখা যায়, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন কাজের পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।
এভাবে আর কত বছর কাটবে এই রাস্তাটি সংস্কার হতে? এমন প্রশ্ন এখন এই রাস্তার পথচারী ও মিজমিজি, কান্দাপাড়া ও মাহমুদপুর এলাকাবাসীর।

নাসিক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো: আশরাফুল আলমকে মুঠোফোন করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই। অন্যদিকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এহেতেশামুল হকের ফোন নাম্বার বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ