আজ মঙ্গলবার, ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

একাত্তরের প্রেক্ষাপট বর্তমান বাংলাদেশ

একাত্তরের প্রেক্ষাপট

একাত্তরের প্রেক্ষাপট বর্তমান বাংলাদেশএকাত্তরের প্রেক্ষাপট

মো: মুন্না খাঁন ,প্রকাশক দৈনিক সংবাদচর্চা

১৯৭১ সালে উত্তাল মার্চ মাস। শোষণ বঞ্চনার শিকার সমস্ত বাঙালি।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তথা বাঙালিদের নিকট  ইয়াহিয়া খানের ক্ষমতা হস্তন্তরের নাটক শুরু।অধিকার আদায়ে প্রতিবাদ করলেই বাঙালির বুকের উপর গুলি।রক্তে রঞ্জিত ঢাকাসহ সারা বাংলার রাজপথ।কথায় কথায় গ্রেফতার ।বাঙালিদের চাপের মুখে প্রশাসনিক কার্যকলাপ অচল।চারি দিকে শুধু হাহা কার বাঙালিরা শুধু চেয়ে আছে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের দিকে মহামানব বঙ্গবন্ধুর দিকে। কখন আসবে রেসর্কোস ময়দানে বঙ্গবন্ধু ।চারদিকে লোকে জনসমুদ্রে রূপ নিয়েছে।ও দিক ইয়াহিয়ার পেটোয়া সেনাবাহিনী শকুনের মত চেয়ে আছে। অতপর বঙ্গবন্ধু মঞ্চে আসলেন ২৩ বছরের ইতিহাসের চিত্র তুলে ধরলেন।

জনপ্রতিনিধিদের কাছে ইয়াহিয়া খান সাহেব ক্ষমতা হস্তন্তর না করে অগণতান্ত্রিক ভাবে সিন্ধান্ত ছাড়াই২৫ শে মার্চ ঢাকা ত্যাগ করলেন।অপারেশন সার্চ লাইটের নামে গণহত্যায় মেতে উঠলেন।

বঙ্গবন্ধু: এবারে সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম .আজ বাংলার মানুষ মুক্তি চায়, বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়, বাংলার মানুষ তার অধিকার চায়।

বাংলার মানুষের মুক্তি হয়েছে পরাধীনতার হাত থেকে কিন্তু শোষণের হাত থেকে নয়। পরাজিত শক্তিরা দেশটা লুটপাট করে খাচ্ছে। কৃষক শ্রমিক তার ন্যার্য অধিকার হতে বঞ্চিত ।
যে মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু সাড়ে সাত কোটি বাঙালিকে একত্রিত করতে পেরে ছিলেন ।সেই মুক্তি আমরা এখন অর্জন করতে পারি নাই। বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালির নয় তিনি সারা বিশ্বের শোষিত নিপীড়িত মানুষের নেতা ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ চলমান। তৃতীয় বিশ্বের দেশে সমূহের মধ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগিয়ে রাখছে বিশ্ব মোরলেরা।বিভিন্ন জাতি সত্তাকে  নিধনের চেষ্টা করা হচ্ছে ।মিয়ানমারে মুসলিম হত্যা মেতে উঠছে সেদেশের সেনাবাহিনী সহ কর্তা ব্যক্তিরা।
বঙ্গবন্ধু:আমি বলেছিলাম, জেনারেল ইয়াহিয়া খান সাহেব, আপনি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, দেখে যান, ঢাকায় আসেন, কিভাবে আমার গরীবের ওপরে, আমার বাংলার মানুষের বুকের ওপর গুলি করা হয়েছে। কী করে আমার মায়ের কোল খালি করা হয়েছে, কী করে মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, আপনি আসুন, দেখুন, বিচার করুন।
স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচার হয়েছে। বাংলার মাটিতে রায় কার্যকর করা হয়েছে।জাতি হিসেবে এখন আমরা কিছুটা হলেও কলঙ্ক মুক্ত হয়েছি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে একধাপ এগিয়ে গেছি আমরা।
পাকিস্তানের যে শত্রুরা ক্ষমতার লোভে বাঙালিদের হত্যায় মেতে উঠেছিলো সেই চক্র এখনো বাংলার মাটিতে সক্রিয় আছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তারা গরীব মানুষকে পেট্রোলবোমা মেরে হত্যা করছে।
বঙ্গবন্ধু: শোনেন মনে রাখবেন, শত্রু বাহিনী ঢুকেছে, নিজেদের মধ্যে আত্মকলহ সৃষ্টি করবে। এই বাংলায় হিন্দু মুসলমান, বাঙালি-নন বাঙালি, যারা আছে তারা আমাদের ভাই, তাদের রক্ষার দায়িত্ব আমাদের উপরে। আমাদের যেন বদনাম না হয়।
যে শত্রুবাহিনী বাংলাদেশে প্রবেশের কথা বঙ্গবন্ধু বলে ছিলো সেই শত্রুরা এখনো বাংলাদেশে জাগ্রত রয়েছে।এরা সর্বদা ঐক্য বিনষ্টের চেষ্টা করছে।
৭ই মার্চের ভাষণে  বঙ্গবন্ধু মুক্তিকামী বাঙালিদের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।বঙ্গবন্ধু বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু গ্রামের মানুষের মুক্তির জন্য কাজ করেছেন।মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় কৃষক শ্রমিককে মেহনতি মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ার জন্য কাজ শুরু করে দিয়ে ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নছিলো সুখী সমৃদ্ধ শোষণ মুক্ত শক্তিশালী সোনার বাংলা নির্মান করা।কিন্তু দুখের বিষয় বঙ্গবন্ধু দেশ সেবায় আত্ন নিয়োগের সাড়ে তিন বছরের মাথায় পরাজিত শক্তিরাই তাকে স্বপরিবারে হত্যা করে।
সেই থেকে বাংলাদেশের রাজনীতির পট পরিবতন হয়ে যায়।বিকৃত করা হয় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে।গণতন্ত্রের নামে চলে সামরিক শাসনের নির্যাতন।ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ব্যবহার করা হয় প্রশাসনকে।
দেশের মানুষের মৌলিক চাহিদা অভাব প্রকট আকার ধারণ করে।নিম্ন জীবন যাত্রার মান।শিক্ষাঙ্গনে অস্থির পরিবেশ তৈরী হচ্ছে।দুর্নীতিবাজ নেতা আমলারা বাঙালিদের শোষণ করেই চলছে।এই দুর্নীতি রোধ করার জন্য বঙ্গবন্ধু নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের জেলা গর্ভণর নিয়োগ দিয়েছিলেন।জনগণের জবাব দিহিতা করার জন্য।বঙ্গবন্ধুর চালু করা পদ্ধতি বহাল থাকলে দেশে দুর্নীতি চিরতরে বিদায় নিত।

জঙ্গীসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাঙালিরা সংগ্রাম করেই টিকে আছে।বাঙালি সংস্কৃতি ধ্বংস করার জন্য নতুন করে ষড়যন্ত্র চলছে।
মুক্তিযোদ্ধাদের লাঞ্চিত করা হচ্ছে।পরাজিত শক্তিরা রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে চেষ্টা করছে।

উত্তর অঞ্চলে দারিদ্রের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।অসম বন্টন নীতি চালু করা হচ্ছে।নিয়োগ বাণিজ্য, চিকিৎসা বাণিজ্য ,শিক্ষা বাণিজ্য বেড়েই চলছে। বঙ্গবন্ধুর নীতি যথাথয বাস্তবায়ন করা হলে এ সকল বানিজ্য থাকত না।

বঙ্গবন্ধু কৃষি নীতি অবলম্বনের ফলে দেশে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।পাকিস্থান,ভারতের চেয়ে আজ বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বে জঙ্গীসন্ত্রাস দমন সহ অবকাঠামোগত উন্নয়নে এগিয়ে রয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর বৈদেশীক নীতির ফলে বাংলাদেশ সীমান্তের বিরোধ মীমাংসা সহ মিয়ানমার এবং ভারতের সাথে সমুন্দ্র বিজয় সম্ভব হয়েছে।শিক্ষা খাতে ব্যাপক উন্নয়ন সহ শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই বিতরণ করা হছে।স্কুল কলেজ ব্যাপক জতীয়করণ করা হচ্ছে।

বিশ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন সহ সারা দেশে নিরবিচ্ছিন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
চিকিৎসা খাতে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করা হয়েছে।সারাদেশে কমিউনিটি সেবার মাধ্যমে গ্রাম অঞ্চলের মানুষদের স্বাস্থ্য সেবার আওতায় আনা হয়েছে।বিনামূল্যেচিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।

অবকাঠামোর উন্নয়ন রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে।বাংলাদেশ পরমানু যুগে প্রবেশ করেছে।রাজধানী ঢাকা সহ সারাদেশে ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হচ্ছে।

পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হচ্ছে।নিজস্ব অথায়ানে যা জাতির জনকের কন্যার দ্বারাই সম্ভব।দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।সারা বিশ্বে শোষকের পরিমাণ বাড়ছে।

বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা দেখে এদেশের পরাজিত শক্তিরা প্রতিবেশীদের ভুল বুঝিয়ে দ্বন্দ্ব লাগানোর চেষ্টা করছে।
নির্বাচনের নামে আবার অপশক্তি সমূহ বাংলাদেশে আবার একাত্তরের মত নিরীহ মানুষ হত্যার মাধ্যমে রাজপথ রঞ্জিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।মাদক, নারী নির্যাতনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পরাজিত শক্তিদের প্রতিহত,দুনীতি ,শোষণ মুক্ত,গণতন্ত্র প্রতিষ্টা করাসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাস্তবায়ন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্টায় একাই অক্লন্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে জাতির জনকের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ