একাত্তরের প্রেক্ষাপট বর্তমান বাংলাদেশ
মো: মুন্না খাঁন ,প্রকাশক দৈনিক সংবাদচর্চা
১৯৭১ সালে উত্তাল মার্চ মাস। শোষণ বঞ্চনার শিকার সমস্ত বাঙালি।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তথা বাঙালিদের নিকট ইয়াহিয়া খানের ক্ষমতা হস্তন্তরের নাটক শুরু।অধিকার আদায়ে প্রতিবাদ করলেই বাঙালির বুকের উপর গুলি।রক্তে রঞ্জিত ঢাকাসহ সারা বাংলার রাজপথ।কথায় কথায় গ্রেফতার ।বাঙালিদের চাপের মুখে প্রশাসনিক কার্যকলাপ অচল।চারি দিকে শুধু হাহা কার বাঙালিরা শুধু চেয়ে আছে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের দিকে মহামানব বঙ্গবন্ধুর দিকে। কখন আসবে রেসর্কোস ময়দানে বঙ্গবন্ধু ।চারদিকে লোকে জনসমুদ্রে রূপ নিয়েছে।ও দিক ইয়াহিয়ার পেটোয়া সেনাবাহিনী শকুনের মত চেয়ে আছে। অতপর বঙ্গবন্ধু মঞ্চে আসলেন ২৩ বছরের ইতিহাসের চিত্র তুলে ধরলেন।
জনপ্রতিনিধিদের কাছে ইয়াহিয়া খান সাহেব ক্ষমতা হস্তন্তর না করে অগণতান্ত্রিক ভাবে সিন্ধান্ত ছাড়াই২৫ শে মার্চ ঢাকা ত্যাগ করলেন।অপারেশন সার্চ লাইটের নামে গণহত্যায় মেতে উঠলেন।
বঙ্গবন্ধু: এবারে সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম .আজ বাংলার মানুষ মুক্তি চায়, বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়, বাংলার মানুষ তার অধিকার চায়।
জঙ্গীসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাঙালিরা সংগ্রাম করেই টিকে আছে।বাঙালি সংস্কৃতি ধ্বংস করার জন্য নতুন করে ষড়যন্ত্র চলছে।
মুক্তিযোদ্ধাদের লাঞ্চিত করা হচ্ছে।পরাজিত শক্তিরা রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে চেষ্টা করছে।
উত্তর অঞ্চলে দারিদ্রের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।অসম বন্টন নীতি চালু করা হচ্ছে।নিয়োগ বাণিজ্য, চিকিৎসা বাণিজ্য ,শিক্ষা বাণিজ্য বেড়েই চলছে। বঙ্গবন্ধুর নীতি যথাথয বাস্তবায়ন করা হলে এ সকল বানিজ্য থাকত না।
বঙ্গবন্ধু কৃষি নীতি অবলম্বনের ফলে দেশে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।পাকিস্থান,ভারতের চেয়ে আজ বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বে জঙ্গীসন্ত্রাস দমন সহ অবকাঠামোগত উন্নয়নে এগিয়ে রয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর বৈদেশীক নীতির ফলে বাংলাদেশ সীমান্তের বিরোধ মীমাংসা সহ মিয়ানমার এবং ভারতের সাথে সমুন্দ্র বিজয় সম্ভব হয়েছে।শিক্ষা খাতে ব্যাপক উন্নয়ন সহ শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই বিতরণ করা হছে।স্কুল কলেজ ব্যাপক জতীয়করণ করা হচ্ছে।
বিশ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন সহ সারা দেশে নিরবিচ্ছিন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
চিকিৎসা খাতে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করা হয়েছে।সারাদেশে কমিউনিটি সেবার মাধ্যমে গ্রাম অঞ্চলের মানুষদের স্বাস্থ্য সেবার আওতায় আনা হয়েছে।বিনামূল্যেচিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।
অবকাঠামোর উন্নয়ন রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে।বাংলাদেশ পরমানু যুগে প্রবেশ করেছে।রাজধানী ঢাকা সহ সারাদেশে ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হচ্ছে।
পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হচ্ছে।নিজস্ব অথায়ানে যা জাতির জনকের কন্যার দ্বারাই সম্ভব।দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।সারা বিশ্বে শোষকের পরিমাণ বাড়ছে।
বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা দেখে এদেশের পরাজিত শক্তিরা প্রতিবেশীদের ভুল বুঝিয়ে দ্বন্দ্ব লাগানোর চেষ্টা করছে।
নির্বাচনের নামে আবার অপশক্তি সমূহ বাংলাদেশে আবার একাত্তরের মত নিরীহ মানুষ হত্যার মাধ্যমে রাজপথ রঞ্জিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।মাদক, নারী নির্যাতনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পরাজিত শক্তিদের প্রতিহত,দুনীতি ,শোষণ মুক্ত,গণতন্ত্র প্রতিষ্টা করাসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাস্তবায়ন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্টায় একাই অক্লন্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে জাতির জনকের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।