আজ বৃহস্পতিবার, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

একজন মাঠ কর্মীর কর্মজীবন   – ব্যারিষ্টার মার-ই-য়াম খন্দকার

লেখক,ব্যারিষ্টার মার-ই-য়াম খন্দকার  : “জীবনের চেয়ে সময় অনেক মূল্যবান” এ শ্লোগানটি যার জীবনের মূলমন্ত্র সেই ব্যক্তিত্ব কলামিষ্ট, রাজনৈতিক ও প্রতিযশা আইনজীবী এ্যাডঃ তৈমূর আলম খন্দকার ১৯শে অক্টোবর ১৯৫৩ ইং নারায়নগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানাধীন মাতুলালয়ে জন্ম গ্রহণ করেন। এ শ্লোগানটি যারা লালন করেন তাদের জন্যই উৎসর্গ করেছেন তার লেখা “যুগে যুগে মীরজাফর” বইটি। তিনি নিজেও এ নীতিকে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে তার অফিস, রাইটিং পেড এমনকি ভিজিটিং কার্ডেও লিখে রেখেছেন। এ জন্য অনেক প্রশ্নের সম্মূখীন হয়েও তার বক্তব্যে সাবলীল রয়েছেন, সরে আসেন নাই। কর্মজীবনে প্রবেশের পূর্বে তিনি নানাবিধ সামাজিক এবং খেটেখাওয়া শ্রমজীবী মানুষদের সংগঠিত করেন, যেমন- রিক্সা ড্রাইবার্স ইউনিয়ন, ঠেলাগাড়ী শ্রমিক ইউনিয়ন, ইট-ভাটা শ্রমিক ইউনিয়ন, মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন, হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন, ঝি-চাকরানী ইউনিয়ন ডেকোরেটর শ্রমিক ইউনিয়ন প্রভৃতি। বিগত ৪০ বৎসর যাবৎ তিনি প্রতিবন্ধী সংগঠনের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। নারায়নগঞ্জ মুক ও বধির সংর্ঘ ও নারায়নগঞ্জ অন্ধকল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা। বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা নারায়নগঞ্জ শাখা সভাপতি ছিলেন। তৈমূর আলম খন্দকার গনডাক নামে একটি জাতীয় সাপ্তাহিক সম্পাদনার মাধ্যমে মিডিয়া জগতে প্রবেশ করেন এবং লেখনীর কারণে কয়েকবার আদালত অবমাননার মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন। ১৯৭৬ ইং থেকে তার লেখা আর্টিকেল জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। বর্তমানে দৈনিক নয়া দিগন্তে প্রতি শনিবার “সময় অসময়”, প্রতি বুধবার দৈনিক দিনকাল, দৈনিক ইনকিলাবসহ তার লেখা কলাম প্রকাশিত হওয়াসহ দেশের ভিতরে ও বাহিরে বাংলায় প্রকাশিত জাতীয় দৈনিকগুলিতে নিয়মিত লেখক এবং ইলেকট্রিক মিয়াতে          “টক-শো”তে প্রতিনিয়ত অংশ নিচ্ছেন। স্বাধীনতার পূর্বে থেকে কেন্দ্রীয় নিরক্ষরতা দূরী করণ সংস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নারায়নগঞ্জের বস্তিতে বস্তিতে এবং বিভিন্ন এলাকার ১৯টি নৈশ্য বিদ্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে দেশে নিরক্ষরতা দূরীকরণ আন্দোলনের সূচনা করেন। স্বাধীনতার পর যৌতুক বিরোধী আইন পাশ করার জন্য ১৯৭৭-৮০ ইং পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, মানব বন্ধন, র‌্যালী, সভা সমাবেশসহ যৌতুকের অভিশাপ সম্পর্কে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় আটিকেল লিখে যৌতুক আদান প্রদানকে আইনগত অপরাধ হিসাবে গণ্য করার জন্য শক্ত জনমত গড়ে তোলেন। ফলশ্রুতিতে ১৯৮০ সালে জাতীয় সংসদে যৌতুক নিরোধ আইন অনুমোদন হয়। অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধেও তিনি জোরালো ভূমিকা রাখেন। আশির দশকে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় শিল্প, বানিজ্য, কৃষি, শিল্প মেলায় ব্যানারে জুয়া/মাদকতা ও অসামাজিক ও অইসলামিক কার্যকলাপ প্রশাসনের উদ্দেশ্যে দেশব্যাপী শুরু হলে নারায়নগঞ্জে তার নেতৃত্বে প্রতিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় নারায়নগঞ্জ ষ্টেডিয়াম মেলায় অগ্নিসংযোগ হলে তাকে প্রধান আসামী করে তৎকালিন মহকুমা প্রশাসন মামলা দায়ের করে।

 

১৯৯৬ ইং সনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তিনি বিএনপি’তে যোগদান করেন, অতপর ১৯৯৭ ইং নারায়নগঞ্জ মহানগর বিএনপি’তে আহবায়ক, কাউন্সিলের মাধ্যমে ২০০৪ ইং সনে জেলা বিএনপি’র নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক, ২০০৮ ইং সনে কারাগারে থাকাবস্থায় জেলা বিএনপি’র আহবায়ক এবং নির্বাচিত সভাপতি, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এবং বর্তমানে তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি চারদলীয় ঐক্যজোট ও ২০ দলীয় ঐক্যজোটের নারায়নগঞ্জ জেলা আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ করে তিনি কন্টকময় জীবন যাপন করতে হয়, তার নারায়নগঞ্জ চেম্বার জ্বালিয়ে দেয়া হয়। বাড়ী ঘরে বোমা বিস্ফোরন ও সসস্ত্র হামলা ছিল নিয়মিত ঘটনা। ১৯৯৭ ইং সনে ডিটেনশন দিয়ে তাকে ময়মনসিংহ কারাগারে প্রেরণ করা হয়। ১৯৯৮ ইং শান্তি চুক্তির প্রতিবাদে বিএনপি’র মিছিলে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করা হয়। তিনি গুলিবিদ্ধ হলেও আল্লাহর রহমতে জীবনে বেঁচে যান, কিন্তু সেই গুলিগুলি এখনো তার শরীরে বহন করছেন। সেই একই গুলিতে সহকর্মী ইব্রাহিম নিহত হয়। ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকার অসংখ্য মামলায় জড়িত করে। ১৬ই জুন ২০০১ ইং নারায়নগঞ্জ আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলায় ২২ জন নিহত হওয়ার মামলায় এ্যাডঃ তৈমূর আলম খন্দকার’কে প্রধান আসামী করা হয়। ১৪ বৎসর পর তিনি ও তার সহকর্মীরা উক্ত মামলা থেকে অব্যাহতি পান। রাজপথে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করার জন্য পুলিশ কর্তৃক তিনি বার বার শারিরিকভাবে নিগৃত হয়েছেন।

 

এ্যাডঃ তৈমূর আলম খন্দকার বিভিন্ন সামাজিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। নারায়নগঞ্জ কলেজ প্রতিষ্ঠাকালিন সময় থেকেই পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছাড়াও গণ বিদ্যানিকেতন ও নারায়নগঞ্জ ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার দাতা সদস্য। এ্যাডঃ তৈমূর আলম খন্দকার মা’য়ের নামে বেগম রোকেয়া খন্দকার উচ্চ বিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া খন্দকার প্রাথমিক বিদ্যালয়, নানার নামে মনির উদ্দিন ব্যাপারী কাওমী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। স্বাধীনতার পর যখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে “ইসলাম” ও “মুসলিম” শব্দটি উঠিয়ে দেয়া হয়, তখন তিনি নারায়নগঞ্জে শহীদ সাব্বির খন্দকার সড়কে (মাসদাইরে) প্রতিষ্ঠা করেন “মুসলিম একাডেমী” এবং অনৈতিক ও অইসলামীক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে স্থানীয়ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। মা’র নামে রাস্তা করার জন্য তারাবো পৌরসভাকে জমি দান করেছেন। বাঙ্গালী সংস্কৃতিকে উজ্জিবিত এবং দল মত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সামাজিক সম্প্রীতি দৃঢ় করার জন্য প্রতি বৎসর ১লা বৈশাখ নিজ বাড়ী রূপসীতে ধর্ম, বর্ণ, দল, মত নির্বিশেষে প্রচুর পরিমাণ সমাবেশের মাধ্যমে প্রীতি ভোজের আয়োজন করেন। রূপগঞ্জে আবাসন প্রকল্প নামে গড়ে উঠা ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে কৃষক ও জমির মালিকদের পক্ষে ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

 

২০০৭ ইং সনের সংসদ নির্বাচনে ৪ (চার) দলীয় ঐক্য জোটের পক্ষ থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য পদে  নারায়নগঞ্জ-১ রূপগঞ্জ আসনে প্রতিধন্ধীতা করার জন্য মনোনয়ন দেয়। কিন্তু তারেক রহমান গ্রেফতার হলে তিনি আইনজীবী হিসাবে প্রথম আইনী লড়াই শুরু করে টাক্স ফোর্সের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। ৪দিন শুনানীতে অংশ গ্রহণের পর ৫ম দিনে কোর্টে যাওয়ার পথে টাক্স ফোর্স তাকে গ্রেফতার করে নারায়নগঞ্জ জেলার প্রায় ১,০০০  (এক হাজার) লোককে বিআরটিসিতে স্থায়ী চাকুরী দেয়ার অভিযোগে ১৮/৪/২০০৭ ইং তারিখে গ্রেফতার করলে তিনি ২৬ মাস করা ভোগ করেন। ২০০৯ সনে ১৪ই মে তিনি কারাগার থেকে মুক্ত হলে ০৪/৬/২০০৪ ইং সনে শাহবাগে বিআরটিসি’র দোতলা বাসে গানপাউডারের মাধ্যমে অগ্নি সংযোগে ১১ জন পুড়িয়ে মারার মামলায় পুনরায় জড়িত করে সি.আই.ডি কর্মকর্তা আঃ কাহার আখন্দের নেতৃত্বে একটি টীম ১৫/১২/২০১০ ইং তারিখ থেকে একাধারে কয়েকদিন ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং তিনি পরে অব্যাহতি পেয়েছেন।

 

এ্যাডঃ তৈমূর আলম খন্দকার রাজনীতিতে যোগদানের পূর্বে থেকেই প্রতিবন্ধী সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ বাংলাদেশ জাতীয় বধির সংস্থার চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধকল্যাণ সমিতির নির্বাচিত ভাইস-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। জাতীয় বধির সংস্থার সম্পত্তি রক্ষা করতে যেয়ে ২০১৪ ইং সনে ১৬ই সেপ্টেম্বর তিনি পুনরায় কারাবরণ করেন। বাংলাদেশ জাতীয় বধির সংস্থার চেয়ারম্যান পদ থেকে সরকার তিন বার তাকে অপসারন করলেও আতœসাৎ বা অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আইনী লড়াইয়ে তিনি এখনো স্বপদে অধিষ্ঠিত রয়েছেন।

 

সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী ও মাদকের বিরুদ্ধে স্বোচ্চার ভূমিকা রাখার কারনে তার ছোট ভাই সাব্বির আলম খন্দকার ১৮ই ফেব্রুয়ারি ২০০৩ ইং চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হয়। সর্বস্তরের জনগণ উক্ত দিবসটিকে প্রতি বৎসর সন্ত্রাস বিরোধী দিবস হিসাবে নারায়নগঞ্জে উৎযাপন করে। ২০০১ ইং সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর এ্যাডঃ তৈমূর আলম খন্দকার প্রথমে ডেপুটি এ্যাটনী জেনারেল, পরবর্তীতে এ্যডিশনাল এ্যাটর্নী জেনারেল পদে নিয়োগ দেয়া হলেও পদত্যাগ করলে সরকার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশনের (বিআরটিসির) একটানা ৫ (পাঁচ) বৎসর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। উক্ত সময়ে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সংগঠন (সরকার অনুমোদিত)  এর চেয়ারম্যান পদে ২ বার নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ভাষানী প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটর, নারায়নগঞ্জ আইন কলেজের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। “ভলভো” বাস তার সময়েই রাজধানীতে চলাচল শুরু, সংস্থাটির         ব্যাপক উন্নতিসহ বন্ধ হয়ে যাওয়া ডিপো চালু করে দেশব্যাপী বিভিন্ন রুটে যাত্রী সেবা বৃদ্ধি করেন।  ঢাকা-আগরতলা আন্তর্জাতিক বাস সার্ভিস তার প্রচেষ্টাই চালু হয়। বিআরটিসির বেদখল হওয়া সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও বিভিন্ন জেলায় নতুন জায়গা ক্রয় করে ১৮টি ট্রেনিং ইনষ্টিটিউট, হাইওয়ে এস্বুলেন্স সার্ভিস, বিআরটিসি পাবলিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন এবং প্রতিবন্দীদের ৫০% ভাড়ায় বিআরটিসি বাসে চলাচলের ব্যবস্থা করেন। রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে তিনি কলোম্বিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, সুইডেন, সিঙ্গাপুর, ভারত সফর করেন। ব্যক্তিগত ভাবে সৌদি আরব, থাইল্যান্ড ও মালোয়শিয়া প্রভৃতি রাষ্ট্র সফর করেছেন। ধর্মের প্রতি অনুরাগী বিধায় বিভিন্ন রাষ্ট্রে ইসলাম ধর্মের ত্বত্ব দর্শনিক, কামেল ব্যক্তিদের মাজার জেয়ারত ছাড়া অনেক বার স্বপরিবারে পবিত্র হজ্ব ও ওমরা পালন করেছেন।

 

নারায়নগঞ্জ পৌরসভাকে সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত করার জন্য সরকারের নিকট তিনি সর্বপ্রথম বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত উল্লেখ করে “নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন” গঠনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পেশ করেন। ২০১১ ইং সনে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে প্রতিধন্ধিতা করার জন্য বিএনপি মনোনয়ন প্রদান করলেও নির্বাচনের মাত্র ৫ ঘন্টা পূর্বে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নির্দেশে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।

 

এ্যাডঃ তৈমূর আলম খন্দকার সুপ্রীম কোর্টের এ্যাপিলেট ডিভিশনে সনদপত্র একজন আইনজীবী। তার প্রর্নীত “মীর জাফর যুগে যুগে” এবং “সময় অসময়” ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। তার লেখা এর পরবর্তী প্রকাশনা “জাতি স্বত্তার অন্তরালে বিষাক্ত নিঃশ্বাস”, “রাজনীতির ভগ্নাংশ”, “ভুলে ভরা এ জীবন”, “মিথ্যার নিকট সভ্যতা পরাজিত”, “আমলাতন্ত্র: যখন যেমন, তখন তেমন” প্রকাশের অপেক্ষায়। ২ কন্যা সন্তান, ব্যারিষ্টার মার-ই-য়াম খন্দকার ও নূসরাত খন্দকারের জনক তিনি। ২০১৪ ইং সনে একই দিনে জন্ম তার দৌহিত্র আহরাম মোহাম্মদ তৈমূর আলম আল-হোসাইন (৪) তার অত্যান্ত প্রিয়।

 

এ্যাডঃ তৈমূর আলম খন্দকার একজন ক্রীড়াবিদ, স্কোয়াস, ব্যাটমিনটন ও লং টেনিস তার           অত্যান্ত প্রিয় খেলা এবং তিনি নিয়মিত লং টেনিস খেলেন। তিনি বাংলা একাডেমী, বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশন, সাভার গল্ধসঢ়;র্ভ ক্লাবের সদস্য। তার শুভাকাঙ্খীরা প্রতিবন্ধীদের বিভিন্ন উপহার সামগ্রী বিতরণের মাধ্যমে প্রতি বৎসর ১৯শে অক্টোবর তার জন্ম দিবস পালন করলেও এ বৎসর (২০১৭ ইং) রোহিঙ্গাদের সাধ্যনুযায়ী সেবা দানের মাধ্যমে দিবসটি উৎযাপনের সিদ্ধান্ত রয়েছে।

 

ঠেলাগাড়ী, রিক্সা ড্রাইভার্স ইউনিয়নসহ এ জাতীয় শ্রমজীবী সংগঠন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালনে তিনি সর্ব ক্ষেত্রে “সময়” ও “মানুষ”কে মূল্যায়ন করেছেন।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ