সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
সোনারগাঁয়ে মসজিদের ইমামকে হত্যার পর মৃতদেহ জড়িয়ে ধরে কেদেঁছিলেন হত্যাকারী ঘাতক ওহিদুর জামান (২৮)। হত্যাকান্ডের মোড় ঘুড়িয়ে দিতে নিজ হাতে চিরকুঠে লিখেছিলেন সে হিজবুত তাওহিদের সদস্য। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ পুলিশ প্রশাসনের চৌকশ কর্মকর্তাদের কঠোর অভিযানের কারনে শেষ রক্ষ হয়নি তার। গত ২৮ তারিখ ভোর রাতে মাদারীপুরের শিবচর এলাকা থেকে গ্রেফতার এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দেশিয় অস্ত্র সহ আলামত উদ্ধার করা হয়।
২৮ তারিখ দুপুরে জেলা পুলিশের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ।
লিখিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২১ আগস্ট এশার নামাজের পর সোনারগাঁ থানাধীন মুগরাপাড়া ইউনিয়ন মল্লিকপাড়া বাইতুল জালাল জামে মসজিদের পেশ ইমাম দিদারুল ইসলাম (২৬) তার ঘরে বিশ্রামের জন্য যায়, পরের দিন ফজর ওয়াক্তে তাকে না পেয়ে তার ঘরে সাধারণ মুসুল্লিরা গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থা মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পরে থাকতে দেখে। এ সময়ে তার ভাই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা করেন যার নং ৫৩, ধারা ৩০২/৩৪।
মামলায় প্রযুক্তিগত সহয়তায় ওহিদুরকে গ্রেফতার করার পর তার দেওয়া স্বীকারোক্তি থেকে বেড়িয়ে আসে লোমহর্ষকর ঘটনা। ওহিদুরের স্বীকারোক্তি মোতাবেক পুলিশ জানান, নড়াইল জেলার নড়াগাথি থানার কলাবাড়ীয়া পশ্চিম পাড়া আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ওহিদুর। নিহত দিদারুল ইসলামের সঙ্গে বন্ধুত্বে সর্ম্পক থাকায় সোনার বার কেনার কথা বলে কয়েক দফা লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে সেই টাকা ফেরত চেয়ে চাপ দিলে দিদারুল কে খুনের পরিকল্পনা করে সে। ২১ আগস্ট সোনারগাঁ থেকে ঘুমের ঔষধ কোকাকোলায় মিশিয়ে অচতন করে চাপাতি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। হত্যার পর খাতায় লিখে যায় “আমরা হিযবুত তাওহিদের সদস্য, সে আমাদের দল থেকে অস্ত্র ও টাকা নিয়ে পালিয়েছে তাই আমরা তাকে হত্যা করলাম”। শেষে অজু খানায় গোসল করে রক্তমাখা লুঙ্গী কচুরীপানা ফেলে পালিয়ে যায় ঘাতক।