আজ শুক্রবার, ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আড়াইহাজারে প্রতিবন্ধী দেলায়ারের দায়িত্ব নিতে চায় না কেউ

আড়াইহাজার প্রতিনিধি:-আড়াইহাজারে প্রতিবন্ধী দেলোয়রের দায়িত্ব নিতে চায় না কেউ। বাবা, মা, ভাই বোন সবই আছে। তবু ও যেন দেলোয়র অসহায়। ১৫ বছরের বালক। কিন্তু শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে তাকে দেখতে লাগে ৪-৫ বছরের বাচ্চার মত। পিতার অধীক বিবাহ আর ভবঘুরে জীবনের কারণে তার পরিবার এখন অসহায়।

দেলোয়ারের পিতা উপজেলার ভাটি গোপিন্দী গ্রামের সিরাজুল ইসলাম (৬৫) একজন কুটিল ও কুচক্রী প্রকৃতির লোক বলে এলাকাবাসি জানান। তিনি প্রথমে বিয়ে করেন জরিনা বেগম নামে এক মহিলাকে। ওই মহিলার ঘরে তার ৫ সন্তান। তারা হলো মাহমুদা, জাকারিয়া, হালিমা, জহিরুল এবং নাজমীন। তাদেরকে রেখে এবং তাদের কথা গোপন রেখে তিনি ১৯৮১ সনে ২য় বিয়ে করেন দিঘলদী গ্রামের মৃত: আসাদ আলী মোল্লার কন্যা রাশিদা বেগম কে। অবশ্য তখন তার প্রথম স্ত্রী তালাক প্রাপ্ত ছিল। কিন্তু পরে আবার হিল্লার মাধ্যমে তাকে সংসারে তোলেন সিরাজুল ইসলাম। ২য় স্ত্রী রাশিদার গর্ভের ও ৫ সন্তান। তারা হলো, শিরিনা আক্তার,সুলতানা আক্তার, রফিকুল ইসলাম, আউলিয়া আক্তার ও প্রতিবন্ধী দেলোয়ার হোসেন।

কিন্তু ২০০৮ সনে আওয়ামীলীগ ক্ষতায় আসার পর পরই সিরাজুল ইসলাম তার অতীতে করে আসা নানা অপকর্মের কারণে সরকার দলীয় নেতা কর্মীদের ভয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যান। বাড়ীতে রেখে যান ২ স্ত্রী আর ১০ সন্তান কে। কিন্তু সিরাজুল ইসলাম ১ম স্ত্রী এবং তার সনÍানদের সঙ্গে যোগাযোগ ও তাদের প্রতি ঠিক মত দায়িত্ব কর্তব্য পালন করলেও ২য় স্ত্রী এবং তার সন্তানেরা বড় অবহেলিত।তিনি বাড়ীতে না থাকলেও প্রথম স্ত্রী এবং তার সন্তানেরা তার অবস্থান জেনে এবং তার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে অধিকার ও আদায় করছে এবং ছেলে জহিরুল এবং মেয়ে হালিমা পিতার সম্পত্তিও লিখে নিচ্ছে। জহিরুল পিতার বসত বাড়ী থেকে ২.৫০ শতাংশ লিখে নিয়েছে ( আড়াইহাজার সাব-রেজিস্ট্রারী দলিল নং ৭২৪৬/১৭)।

হালিমা সম্পত্তি কেনার জন্য দু, লাখ টাকা বায়না দিয়েছে। ফলে প্রথম স্ত্রীর সন্তানেরা রাশিদা সহ তার সন্তানদেরেকে বাড়ী থেকে বের করে দিবে বলে হুমকী দিচ্ছে। রাশিদা ও বয়সে প্রায় বৃদ্ধ। দু মেয়ে বিবাহিত। এক মেয়ে আর প্রতিবন্ধী ছেলেটিকে নিয়ে এখন তিনি মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বড় ভাই রফিকুল ইসলাম মাদরাসায় লেখাপড়া করে মাত্র মাওলানা হয়েছে। তার আয় রোজগার এখনো শুরুই হয়নি। এমতাবস্থায় প্রতিবন্ধী ছোট ভাই দেলোয়রের জন্য সেও কিছু করতে পারছে না। তাই মাতা রাশিদা বেগম দেলোয়ারকে নিয়ে এসেছিলেন স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে।

তিনি জানান, তার স্বামীর প্রথম স্ত্রী ও তার সন্তানেরা যেমন বাবার আদর স্নেহ আর সম্পত্তি ভোগ দখল করছে, তিনি এবং তার সন্তানেরা ও যেন তেমনটি পান। তিনি অবশ্য স্বামীর বসত ভিটার দুটি বসত ঘরে ছেলে সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন। কিন্তু যে কোন সময় তাদেরকে স্বামীর প্রথম স্ত্রীর সন্তানেরা বল পুর্বক উৎখাত করে দিতে পারেন। এ ব্যাপারে তিনি আদালতে একটি মামলা করলেও স্থানীয় প্রভাবশালী ইয়াছিনের পুত্র রহিমের প্রবঞ্চনায় এবং মিথ্যা স্বাক্ষীতে মামালাটি ডিস মিস হয়ে যায়। তিনি অভিযোগ করেছিলেন আইন সহায়তা ও পরিবেশ সংরক্ষণ কেন্দ্রে ও। কিন্তু ফলাফল শুন্য। এবার তিনি যাবেন জাতীয় মানবাধীকার সংস্থায়। এ ব্যাপারে তিনি তার এবং তার সন্তানদের ন্যায্য দাবী আদায়ে এবং প্রতিবন্ধী সন্তান দেলোয়ারের ভরন পোষণের নিশ্চয়তা চেয়ে এলাকাবাসির ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সু দৃষ্টি কামনা করেছেন।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ