আজ সোমবার, ৩রা আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আড়াইহাজারে দুই জঙ্গী গ্রেফতার

রফিকুল ইসলাম রানা:-
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন আনসার আল ইসলাম (আনসারউল্লাহ বাংলা টিম) এর ২ সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‌্যাব)। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলা থেকে দুজনকে আটক করে র‌্যাব ১১। দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র‌্যাব। আটককৃতরা হলো, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম এলাকার জাহিদুল ইসলাম কাওসার (৩২)ও গাইবান্দার সদরের মশিউর রহমান জীবন (২৮)।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিতিত্তে অভিযান চালিয়ে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাক্ষন্দী ইউনিয়নের ইদবারদী বাসষ্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় দেশিয় অস্ত্র ও জঙ্গীবাদী লিফলেট উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব জানায়, জাহিদুল ইসলাম ওরফে কাওছার ২০০৪ সালে রাজধানীর একটি স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করে এবং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অপরাধ মুলক কাজের সাথে যুক্ত হয়। সে ২০০৪ সালে জনৈক জুয়েল এর মাধ্যমে জেএমবি’তে যোগদান করে এবং জেএমবির শীর্ষ স্থানীয় নেতা আরাফাত রহমান সানির মাধ্যমে জেএমবির সামরিক শাখার জন্য প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আত্নঘাতী গ্রুপে নাম লেখায়। পরবর্তীতে দেশব্যাপী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক জেএমবি দমন অভিযানের কারণে সে আত্নগোপনে চলে যায়।

পরে সে ২০০৭ সালে তার এক বাল্য বন্ধুর মাধ্যমে হিযবুত তাহরীহতে যোগদান করে ২০০৭ সালে থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সক্রিয় সদস্য হিসেবে কাজ করে। ইতিপূর্বে র‌্যাব-১১ কর্তৃক গ্রেফতারকৃত মাওলানা ইসহাক এর মাধ্যমে সে ২০১০ সাল থেকে পুনরায় জেএমবিতে কাজ করা শুরু করে এবং মোহাম্মদপুরের বছিলায় জসিম উদ্দিন রাহমানীর মসজিদে যাতায়াত করতে থাকে।

ইতিপূর্বে র‌্যাব-১১ কর্তৃক গ্রেফতারকৃত সৈয়দ রায়হান কবির ওরফে রায়হান ওরফে বাবুর মাধ্যমে সে ২০১৫ সালে আনসার আল ইসলাম (আনসারুল্লাহ বাংলা টিম) এ যোগদান করে এবং আনসার আল ইসলামের হয়ে কাজ করতে থাকে।
মোঃ মশিউর রহমান ওরফে জীবন ২০১১ সালে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এর অধীনে এসএসসি পাশ করে ফার্নিচারের দোকানে কাজ শুরু করে এবং ২০১৩ সালে জনৈক লিটন এর সাথে পরিচয় এবং ঘনিষ্ঠতার মধ্যদিয়ে জঙ্গীবাদের সাথে সম্পৃক্ত হয়। লিটন এর মাধ্যমে ঢাকার নন্দী পাড়াস্থ কোরআন সুন্নাহ একাডেমী মসজিদ এ যাতায়াত শুরু করে এবং মসজিদের খতিব শায়েখ আরিফ এর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরী হয়।

ওই মসজিদে বিভিন্ন জঙ্গী যাতায়াতের মধ্য দিয়ে সংগঠনের একাধিক সদস্যের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায়। তার বাসায় জঙ্গী কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত একাধিক মিটিং হয়েছে বলে সে স্বীকার করেছে এবং তার বাসায় সাজিদ নামের এক জঙ্গী নেতা স্ত্রীসহ অনেক দিন আত্মগোপনে ছিল বলে সে স্বীকার করে। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের শেষের দিকে সে জনৈক শিপন এর মাধ্যমে আনসার আল ইসলামে (আনসারুল্লাহ বাংলা টিম) এ যোগদান করে কাজ করতে থাকে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ব্যাপারে আড়াইহাজার থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ