আজ বুধবার, ২৯শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আড়াইহাজারে ডাক্তারের উপর সন্ত্রাসী হামলা

আড়াইহাজার উপজেলার খাকান্দা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ডা. আব্দুল আউয়ালের উপর অতর্কিত হামলা করেছে সন্ত্রাসীরা। বুধবার (১ জুলাই) সকাল ৮টায় এই হামলার শিকার হন ডা. আব্দুল আউয়াল। তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলাকারীদের মধ্যে তিনজনকে শনাক্ত করতে পেরেছন ডা. আউয়াল। হামলাকারীদের মধ্যে ছিলেন, আড়াইহাজারের শহীদুল্লাহ, মোশারফ, শরীফ সহ তাদের অপরাপর অজ্ঞাতনামা সহযোগীরা। হাসপাতালে আহত ডা. আব্দুল আউয়ালকে দেখতে যান নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল পারভেজ। তিনি বলেন, ডা. আব্দুল আউয়াল জেলা থেকে প্রস্তাবিত আড়াইহাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। দীর্ঘ দিন যাবত উনাকে হুমকি ধামকি দিয়া আসছে একটা গৌষ্ঠী। সম্ভাবত এটা রাজনৈতিক কারণেই । এই হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে আজ সকালে উনি যখন উনার কর্মস্থল জাঙ্গালিয়া বাজারে যাচ্ছিলেন ,ঠিক সকাল সাড়ে ৮ টায় উত পেতে থাকা সন্ত্রাসী গ্রুপ ,পরিকল্পিত সন্ত্রাসী শহীদুল্লাহ, মোশারফ ,শরীফ তাদের হাতে থাকা আধুনিক অস্ত্র দাঁ,লোহার রড ,শাবল খুনতি নিয়া উনার উপরে আক্রমণ করে। প্রথমে তার মাথার ডান পাশে একটা কোপ দেয় তাকে খুন করার উদ্দেশ্যে । আল্লাহর রহমতে সে যখন ডান হাত দিয়ে দাঁর কোপ ফিরাতে যায় তার ডান হাতের ৫ টি আঙ্গুল দাঁর আঘাতে কেটে যায়। এরপর তার সাথে অন্যান্য সন্ত্রাসীরা জড়িতে ছিলো সেগুলো সে তাৎক্ষণিকভাবে চিন্তে পারে নাই। পরবর্তীতে সে যখন সুস্থ হয়ে সবকিছু দেখতে পায়। আপনারা দেখেছেন আমাদের আড়াইহাজার একটা সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। তার ধারবাহিকতায় চিহ্নিত খুনিজন সবকিছু নিয়ে আড়াইহাজারে বসবাস করে। আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আমি এ ধরণের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এর বিচার দাবি করি। ডা. আব্দুল আউয়ালে বলেন, সকাল ৮ টায় বাসা থেকে বের হইয়ে আমি আমার দোকানে যাওয়ার জন্য রওনা হইছি। পথে মধ্যে আমাকে অতর্কিত হামলা করে কয়েকজন সন্ত্রাসী । তাদেরকে আমি চিন্তে পারছি। তাদের ৩ জনের নামও জানি। আরো লোক আছে । আমি অনেক ডাকা ডাকি করেছিলাম আমাকে কেউ হেল্প করেনি। ওরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে লাঠিসোটা দিয়ে আমাকে মারপিট করেছে। আমি ওদের বিচার চাই। আমাকে রাজনৈতিক কারণে হামলা করা হয়েছে। আমার নেতা ইকবাল পারভেজের , আমি আপন ভাগিনা। আমি তার কাছে যাওয়া আসা করি। তার সাথে আমার কথা হয়। এর জন্য আমাদের আড়াইহাজারের এমপি সাহেব রাগান্বিত হয়ে আমাকে কয়েকবার হুমকি ধামকি দিয়েছে । আমি সহ্য করে দোকান চালিয়ে যাচ্ছি। কারো কাছে বলিনি। আমি কারো কাছে অন্যায় করিনি। কেনো এ হামলা আমার উপরে।