আজ সোমবার, ১১ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Important Notice: Dear Munna Khan, kindly settle Invoice #CIT-246357 ASAP. For any inquiries, feel free to contact us. Thank you! www.contriverit.com

আলোচিত ৭ খুন মামলায় হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ

আলোচিত ৭ খুন

আলোচিত ৭ খুনসংবাদচর্চা রিপোর্ট:

আলোচিত নারায়ণগঞ্জের  সাত খুন মামলায় ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ হয়েছে। এর ফলে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করার বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়েছে।

সোমবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ১৫৬৪ পৃষ্ঠার এই রায় প্রকাশ করা হয়। গত ১৫ নভেম্বর রায় প্রদানকারী বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম মামলার রায়ে সই করেন।

আইনজীবীরা জানান, এই রায় প্রকাশের মধ্য দিয়ে মামলাটি চূড়ান্ত মীমাংসার পথে এগিয়ে গেল। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের মীসাংসার পর রিভিউ আবেদনের সুযোগ আছে। সেখানেও কেউ দণ্ডিত হলে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ পাবে।

গত বছরের ২২ আগস্ট সাত খুন মামলায় নূর হোসেন, তারেক সাঈদ, আরিফ হোসেন, মাসুদ রানাসহ ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। তবে বিচারিক আদালতে ফাঁসির দণ্ড পাওয়া ১১ জনকে দেয়া হয় যাবজ্জীবন দণ্ড। নিম্ন আদালতে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৯ জনের দণ্ডও বহাল রাখে উচ্চ আদালত। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন: এমদাদুল হক, আরিফ হোসেন, হীরা মিয়া, বেলাল হোসেন, আবু তৈয়ব, শিহাব উদ্দিন, পুর্নেন্দু বালা, আব্দুল আলীম, মহিউদ্দিন মুন্সী, তাজুল ইসলাম ও আল আমিন।

মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- আসাদুজ্জামান নূর, এনামুল কবীর, মর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দিপু ওরফে মিজান, রহমত আলী, আবুল বাসার, সেলিম, সানাউল্লাহ ওরফে সানা, শাহজাহান ও জামাল উদ্দিন।

গত বছরের ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নূর হোসেন, তারেক সাঈদসহ আসামিরা খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন। এর আগে ওই বছরের ১৬ জানুয়ারি সাত খুনের মামলায় নূর হোসেন, তারেক সাঈদসহ ২৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। বাকি নয় আসামির সবাইকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাত জন। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে ছয়টি লাশ। পরের দিন মেলে আরেকটি লাশ।

নিহত অন্যরা হলেন: নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহিম।

ঘটনার একদিন পর কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা নূর হোসেনসহ ছয় জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন।