আজ শুক্রবার, ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আ’লীগ অফিসে বোমা হামলার বিচার নিয়ে হতাশা’

জুয়েল, পিন্টু কারাগারে। মোরছালিন,মুস্তাকিম ভারতে। শকু,ওবায়দুল জামিনে। মুফতি হান্নানের অন্য মামলায় ফাঁসি ।

সংবাবাদচর্চা রিপোর্ট:
২০০১ সালের ১৬ জুন চাষাঢ়া বিজয় স্তম্ভের পাশে আওয়ামী লীগ অফিসে শক্তিশালী বোমা হামলায় আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ ও মহিলাসহ ২০ জন নিহত হয়। আহত হয় তৎকালিন সংসদ সদস্য শামীম ওসমানসহ শতাধিক নেতাকর্মী। ঘটনার ১৭ বছরের শেষ পথে এখনো এ হত্যাকান্ডের বিচার হয়নি। প্রাণে বেঁচে যাওয়া আহতরা পঙ্গুত্ব নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো দিন কাটাচ্ছে অর্থ সংকটে ।

বোমা হামলার ঘটনার পরদিনই শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খোকন সাহা বাদী হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের আসামী করে হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন। চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেন। অন্যদিকে বোমা হামলায় নিহত ফুটপাতের পিঠা বিক্রেতা হালিমা বেগমের ছেলে কালাম বাদী হয়ে শামীম ওসমান ও তার দুই ভাইসহ অনেককে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে উচ্চ আদালতের নিদের্শে মামলাটি খারিজ হয়ে যায়।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০০৩ সালে বিস্ফোরক মামলায় ২৭ জনকে ও ২০১৪ সালে হত্যা মামলায় তদন্তকারী সংস্থা ২২ জনকে আসামী করে আদালতে অভিযোগ পত্র দখিল করে ।

এ মামলায় গ্রেফতার হয়েছে চারদলীয় জোট সরকারের উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের কমিশনার আরিফুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদল নেতা শাহাদাত উল্লাহ জুয়েল, হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানসহ ১০ জন । আসামীদের বৃটিশ হাই কমিশনারের উপর বোমা হামলার মামলায় মুফতি হান্নানের মত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে । কারাগারে রয়েছে আদালতে একমাত্র স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেওয়া শাহাদাত উল্লাহ জুয়েল ও আব্দুস সালাম পিন্টু। ভারতে গ্রেফতার রয়েছে সহোদর আনিসুল মোরছালিন ও মাহাবুবুল মুস্তাকিম । জামিনে রয়েছে নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু ও ওবায়দুল হক । বাকী আসামীরা পলাতক রয়েছে । ১০২ জন সাক্ষীর মধ্যে বাদী ব্যতিত কোন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন সম্ভব হয়নি । এতে সংশয় ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে বিচার নিয়ে ।

নিহত মসিউর রহমান মশুর ছোট ভাই আবুল বাসার জানায়, মাত্র ৩৩ মাসে ৭ খুন মামলার বিচার কাজ সম্পন্ন হলেও দীর্ঘ ১৮ বছরেও ২০ হত্যা মামলার বিচার হচ্ছে না। জামিনে থাকা আসামীদের প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবার গুলোকে সহায়তার আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন করেনি।

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও মামলার বাদী এ্যাডভোকেট খোকন সাহা জানান, বিভিন্ন কারনে মামলার আসামী ও সাক্ষীদের আদালতে হাজির করতে না পাড়ায় বিচার বিলম্বিত হচ্ছে উল্লেখ্য করে মামলার বাদী নিজেও বিচার নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন ।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ