রূপগঞ্জ প্রতিনিধি : ঈদের বাকি আর মাত্র ৩ দিন। সড়ক-মহাসড়কে ছোট-বড় গাড়ির চাপ দিন দিন বাড়ছেই। দেশের প্রায় ১৫টি জেলার লোকজন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপর দিয়ে চলাচল করেন। ঈদ মানে যাত্রীর চাপ বেশি। যানবাহনও বেশ। একটু এদিক সেদিক হলেই যানজট লেগে যায়। এসব যানজট নিরশন করতে হিমশিম খাচ্ছেন ট্রাফিক পুলিশ, থানা পুলিশ, বিভিন্ন পরিবহন আঞ্চলিক শ্রমিক কমিটির নিয়জিত কর্মীরা।
ঈদকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব সড়ক পরিবহন আঞ্চলিক কমিটি (৪৯৪) শ্রমিকরা যানজট নিরশনে কাজ করছেন প্রায় ২৫জন শ্রমিক। সরোজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের তারাব পৌর এলাকার নিউঢাকা থেকে বরপা আড়িয়ার এসিএস মিল পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার সড়ক জুড়ে তীব্র তাপদাহকে উপেক্ষা করে তারাব পরিবহন আঞ্চলিক শ্রমিক কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকসহ ২৫ জনের টিম ৫টা পয়েন্টে যানজট নিরশনে কাজ করছেন।
খোঁজ নিয়ে যানা যায়, তারাব সড়ক পরিবহন আঞ্চলিক কমিটি (৪৯৪) সভাপতি মোজাম্মেল হক ও সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ আলীকে প্রতিদিন সকাল থেকে গভির রাত পর্যন্ত ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যানজট নিরশনে নিউঢাকা থেকে বরপার আড়িয়াব পর্যন্ত ট্রাফিক পুলিশ, থানা পুলিশের পাশাপাশি লাঠি হাতে কাজ করেন। খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, তারাব সড়ক পরিবহন আঞ্চলিক কমিটি (৪৯৪) লাল কার্ডধারী ৩৬জন ড্রাইভার হেলপার প্রায় সময় সকলেই যানজট নিরশনে কাজ করেন।
তারাব সড়ক পরিবহন আঞ্চলিক কমিটি (৪৯৪) সভাপতি মোজাম্মেল হক জানান, আমরা পরিবহ শ্রমিকরা ঈদকে সামনে রেখে সর্ব সাধারণের র্নিবিঘ্নে যাতায়াত নিশ্চিত করতেই দিনের ও রাতের অনেকটা সময় সড়কের পাশেই থাকতে হয়। আমরা সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে পরিশ্রম করে যাচ্ছি।
আমরা শ্রমিক,সড়কে যানবাহন র্নিবিঘ্নে চলাচল করতে পারে ও যাত্রী সাধারণ যানজট মুক্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরতে পারে সে জন্যই সকাল থেকে গভির রাত সড়কে থাকতে হয়। অসহনীয় তাপদাহকে উপেক্ষা করেই যানচলাচল র্নিবিঘেœর কাজটা করতে হচ্ছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভার যাত্রামুড়া, নিউঢাকা, তারাব বিশ্বরোড, রূপসী, বরপা, আড়িয়াব এসবস্থানে প্রায় ২৫জন তারাব সড়ক পরিবহন আঞ্চলিক শ্রমিক কমিটির লোকজন যানজট নিরশনে কাজ করে যাচ্ছেন। তারাব সড়ক পরিবহন আঞ্চলিক কমিটির সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ আলী এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ঈদের বাকি ৩ দিন। এসময় সড়কে ও যানবাহনে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। আমরা পুলিশে সহযোগিতা করার জন্যই সড়কে যানজট নিরশনে কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ব্যপারে প্রশাসনের কাছে অনেকেই অভিযোগ করেন চাঁদা আদায়ের বিষয়ে। আমরা কয়েকটা গাড়ি থেকে ১০/২০ টাকা করে চাঁদা নেই। এ চাঁদার টাকা নিয়ম মেনে যেমন নেই, মেমনী নিময় মেনে শ্রমিকদের কল্যাণে নয়ত চিকিৎসার কাজে ব্যয় করা হয়। অনেকে যানজট নিরশনে কাজ করে তাদের বেতন এ টাকা থেকে দেয়া হয়।
শনিবার এ রিপোর্ট তৈরি করার আগে, নিউঢাকা থেকে বরপা আড়িয়াব পর্যন্ত সরোজমিন ঘুরে যাদের দেখা গেছে যানজট নিরশনে কাজ করতে তারা হলো, মাসুম, শরিফ, জাকির, গোলজার, রফ হোসেন, কাউসার, জাহাঙ্গীর, হোসেন, আহাম্মদ আলী, আকতার হোসেন, ছোরত আলী,বাবুল, মোস্তফা, লিটন, ইলিয়াস,আজহার, মোহাম্মদ আলী।
তারাব বিশ্বরোড পুলিশ বক্সের (টি আই) মোস্তফা সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কয়েকদিন ধরে তীব্র গরম। ঠিকমতো সড়কে থাকা যায়না। যানজট নিরশনে অনেক সহযোগিতা পাচ্ছি তারাব সড়ক পরিবহন আঞ্চলিক কমিটি (৪৯৪) শ্রমিকদের কাছ থেকে। তবে শ্রমিকরা সহযোগিতা আন্তরিকভাবে করছেন বলে আমাদের সরকারের বেশ সুনাম হচ্ছে বলে আমি মনেকরি।###