আবারও বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের দ্বীপ সেন্টমার্টিনের কিছু অংশ নিজের ভূমি বলে দাবি করেছে মিয়ানমার। দেশটির তিনটি রাষ্ট্রীয় ওয়েবসাইটে বাংলাদেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপকে মানচিত্রে দেখিয়েছে তারা।
এর আগেও মিয়ানমার এই কাজ করেছে এবং দেশটির দূতকে ডেকে প্রতিবাদ জানানোর পর সেই দাবি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
এর মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো মিয়ানমারের এমন উস্কানিমূলক আচরণে সতর্ক রয়েছে ঢাকা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খুব দ্রুতই মিয়ানমারে রাষ্ট্রদূত লুইন উকে তলব করে মানচিত্র থেকে বাংলাদেশের অংশটি অপসারণ করার তাগিদ দেবে।
জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব এম শহিদুল হক বলেন, ‘আমরা বিষয়টি জেনেছি। তারা এর আগেও এমন কাজ করেছিল, তবে সে সময় বিষয়টি নিয়ে তারা তাদের ভুল স্বীকার করেছে। আমরা রাষ্ট্রদূতকে তলব করব। দেখি তিনি কী ব্যাখ্যা দেন।’
ব্রিটিশ রাজ থেকে ভারত ও পাকিস্তানের স্বাধীনতার পর সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের সীমানায় ছিল সেন্টমার্টিন দ্বীপ। পাকিস্তান ভেঙে স্বাধীন হওয়ার পর আট বর্গকিলোমিটারের এই প্রবাল দ্বীপটি বাংলাদেশের অংশ হয়। এর মালিকানা নিয়ে কখনও কোনো প্রশ্ন ছিল না।
এর মধ্যে মিয়ানমার সরকারের জনসংখ্যা বিষয়ক বিভাগের ওয়েবসাইট সম্প্রতি তাদের দেশের যে মানচিত্র প্রকাশ করেছে, তাতে সেন্টমার্টিন দ্বীপপুঞ্জকে তাদের ভূখণ্ডের অংশ দেখানো হয়।
ওই মানচিত্রে মিয়ানমারের মূল ভূখণ্ড এবং বঙ্গোসাগরে বাংলাদেশের অন্তর্গত সেইন্ট মার্টিন দ্বীপকে একই রঙে চিহ্নিত করা হয়। অন্যদিকে বাংলাদেশের ভূভাগ চিহ্নিত করা হয় অন্য রঙে।
বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইলেও মিয়ানমার সম্প্রতি উস্কানিমূলক আচরণ করছে। দেশটি তার রাজ্য রাখাইনে বসবাসকারী রোহিঙ্গা মুসলমানদেরকে বাঙালি আখ্যা দিয়ে তাড়িয়েছে। আর সেনা অভিযানের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে চুক্তি করেও নানা টালবাহানা করছে।