আজ মঙ্গলবার, ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের গুড়

মনি ইসলাম:

মানুষ এখন খেজুরের গুড়ের স্বাদ ভুলতে বসেছে। বাজারে পাওয়া যায় না খেজুর গুড়ের মন মাতানো সেই ঘ্রাণ। উপজেলার এলাকায় শহরে বা উপজেলার গ্রাম গুলোতে শীতের ঐতিহ্য ছিল মিষ্টি খেজুরের গুড়ের পিঠা । মাত্র এক যুগের মাথায় খেজুরের গুড়ের স্বাদ ভুলতে বসছে মানুষ। আসল গুড় দিয়ে পায়েস খাওয়া এখন শুধুই স্মৃতি। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা চিনি মেশানো ভেজাল নিম্ম মানের ঝোলা গুড় এখন পাওয়া যায় বিভিন্ন বাজারে।

ভেজাল গুড়ে সাধারনত মিশিনো থাকে চুন হাইড্রেস, ফিটকারী ,কাপড়ের রং,চিনি,আটা-ময়দা।ভেজার গুড়টা অতিরিক্ত শক্ত মাত্রায় তৈরি হয়ে থাকে । যে গুড়টা দেখতে সাদা তাতে সাথে মিশানো অতিরিক্ত চিনি মেশানো ।আর আসল গুড় যখন কোনো ব্যক্তি তার গালের ভিতর রাখবে তখন সেই গুড় আপনা আপনি গলে যাবো ।ভেজাল খেজুরের গুড় বা আখেঁর গুড় তৈরিতে ১ বস্তা চিনির সাথে মিশিয়ে থাকে ১ কেজি গুড় ।যা খাওয়ার ফলে হতে পারে মারাত্বক ক্যান্সার ।

সাধারণত গুড় দেখে সাধারণ মানুষের চেনার উপায় নেই । তবে যাদের এবিষয়টা নিয়ে দেখার কথা তারা রয়েছে ঘুমিয়ে ।ফলে সাধারণ মানুষের যাওয়ার কোনো রাস্তাই থাকে না । সাধারণ মানুষের অসহায় অবস্থা বেশি করে ফুটে ওঠে এই রমজান মাসে ।

সরেজমিনে দিগু বাবুর বাজারে দেখা যায় অস্বাস্থ্য পরিবেশে নিম্ম মানের গুড় বিক্রির চিত্র। যা বাজারে বিক্রি হচ্ছে খেজুঁরের গুড় নামে । যার মূল্য বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে । ৮০,৯০,১০০,১৪০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। একই নামের গুড় অথচ দেথতে কয়েক রকমের ।

গুড় কিনতে এসে সোহেল বলেন, কোনটা আসল গুড় আর কোনটা ভেজাল গুড় আমরা বুঝতে পারি না । তবে হ্যাঁ যখন গুড় দিয়ে কোনো কিছু রান্না করা হয় তখন আর সেই আসল গুড়ের ঘ্রাণটা খুজেঁ পাই না । অনেক সময় দেখা যায় গুড়ের তৈরি কোনো কিছু খেলে আমাদের বাচ্চাদের বা আমাদের শরীর খারাপ হয়ে পড়ে তখন বুঝতে পারি হয়তো গুড়ে ভেজাল থাকার কারনে আমাদের এসমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে ।

গুড় বিক্রেতা কাদের মোল্লা বলেন,এই গুড়ের দাম কম তাই মানুষ কেনে বেশি। যে গুড়ে চিনি আছে সে গুড়ের দাম একটু কম। অস্বাস্থ্য পরিবেশের কথা বললে তখন সে চুপ করে থাকে।

অথচ নিম্ম মানের গুড়ের বাজারে ভোক্তাদের অধিকার আইন ২০০৯ এর ৩৮ ধারায় জরিমানা করেছেন  ভ্রাম্যমান আদালত । সে আইনের প্রয়োগ দেখা মিলে না বললেই চলে ।

এবিষয়ে জানার জন্য মোবাইলের  মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ,এফ এম এহতেশামূল হক । তিনি বলেন, গুড়ে যে ভেজাল আছে প্রাথমিক ভাবে তা বেচার কোনো উপায় নেই । তবে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গুড় বিক্রির বিষয় টা আমরা দেখছি। গুড়ের এবিষয়টা বিস্তারিত জানার জন্য আপনি ১৫ নং ওয়ার্ডের এয়াসিদ বরণ তার সাথে যোগাযোগ করুন।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ