হাসান মাহমুদ,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাট জেলার সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকারী গাছগুলো কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে করে ক্যাম্পাসের পরিবেশ বিঘ্ন ঘটছে বলে দাবি করছেন অভিভাবকরা।
জানা গেছে, সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে সোভা বর্ধন ও পরিবেশ রক্ষায় বিদ্যালটির চার দিকে ও পুকুর পাড়ে বেশ কিছু ফলজ ও বনজ গাছ লাগানো হয়। সোভা বর্ধনকারী এ গাছগুলোর বয়স প্রায় ২৫/৩০ বছর। পরম যত্নে বড় করা এ গাছগুলো কেটে বিদ্যালয়ের আসবাব পত্র তৈরী অজুহাতে বিক্রি করেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ও হাইকোর্টের স্থাগিতাদেশ প্রাপ্ত পরিচালনা কমিটির সভাপতি।
প্রথম দিকে গত শনিবার(২৪ মার্চ) ৪টি মেহগনি গাছ কেটে ফেলা হলে অভিভাবক ও এলাকাবাসী তার প্রতিবাদ করে গাছগুলো আটক দেন। এ সময় প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয়টির কথিত সভাপতি কাশেম আলী সরকারের ভারাটে বাহিনী জোরপুর্বক একটি গাছ নিয়ে যান। পরে জনতার প্রতিবাদে বাকী ৩টি গাছের পাতাহীন খন্ডগুলো বিদ্যালয়ের মাঠে ফেলে রাখে।
বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী ইফাত জাহান রীতি, ষষ্ঠ শ্রেনীর সাদিয়া খানম ও নবম শ্রেনীর সুমাইয়া, সজিতা রানী ও দীতি মোহন্ত জানান, গাছগুলো ক্যাম্পাসের চার দিকে থাকায় বিদ্যালয় মাঠে খেলাধুলার পরিবেশও সুন্দর ছিল। কেটে নিলে বিদ্যালয়ের পরিবেশ রুক্ষ ও ধুসর হয়ে পড়বে।
বিদ্যালয়টির অভিভাবক রমজান আলী, শাহানুর আলম বসুনিয়া ও আইমা বেওয়া জানান, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির কার্যক্রম স্থগিত রাখতে মহামান্য হাইকোর্ট নির্দেশ দেন। যা অমান্য করে অবৈধ্য ভাবে সভাপতি দাবি করা কাশেম আলী সরকার টাকার জোরে গোপনে ইউসুফ আলীকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এখন তারা বিদ্যালয়ের পরিবেশ রক্ষাকারী মুল্যবান গাছগুলো বিক্রি শুরু করেছেন। এর প্রতিবাদ করতে গেলে কাশেমের লাঠিয়াল বাহিনীর হাতে হেনেস্তা করা হয় বলে তারা দাবি করেন।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের (হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ) সভাপতি কাশেম আলী জানান, বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য গাছগুলো কাটা হয়েছে। যা কমিটির সিদ্ধান্ত মতেই করা হয়েছে।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ইউসুফ আলী জানান, বিদ্যালয়ের উন্নয়নে গাছ কাটা হচ্ছে। এ বিষয়ে রেজুলেশন করা হয়েছে। তবে তা দেখতে চাইলে তিনি বলেন, রেজুলেশন বহি তার বাসায় রয়েছে বলে আর কোন মন্তব্য করতে রাজি হন নি তিনি।