নিজস্ব প্রতিবেদক:
রূপগঞ্জ থেকে জিহান নামে দেড় বছরের এক শিশুকে অপহরনের ৩দিন পর শেরপুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় এ ঘটনায় জড়িত মহিলাসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে শেরপুরের সদর থানাধীন যোগনীমোড়া পীরসাহেবের বাড়ী থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে সোমবার বিকেলে উপজেলার তারাব পৌরসভার বরপা বাগান বাড়ী এলাকা থেকে অপহরনকারীরা শিশু জিহানকে অপহরন করে।
উদ্ধার হওয়া শিশু জিহানের পরিবারের বরাত দিয়ে রূপগঞ্জ থানার এসআই জুবায়ের মৃধা জানান, দুই বছর ধরে ভোলার লালমোহন থানাধীন বাগানবাড়ী এলাকা জাকির হোসেন উপজেলার তারাব পৌরসভার বরপা বাগানবাড়ী এলাকার জনৈক শরিফ আহমেদের ভাড়াবাড়িতে বসবাস করে আসছিল। সে সেখানে একটি কারখানায় ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করে। সোমবার বিকেলে তার পূর্ব পরিচিত হবিগঞ্জের মাধবপুর থানাধীন ধনকোড়া এলাকার পুরুব মিয়ার ছেলে খলিল মিয়াসহ কয়েকজন জাকির হোসেনের দেড় বছরের শিশু সন্তান জিহানকে দোকান থেকে জুস কিনে দেবার কথা বলে বাড়ী থেকে অপহরন করে নিয়ে যায়। ঐদিন রাতে দিকে অপহরনকারীরা জাকির হোসেনের মোবাইলে জিহানের মুক্তিপন বাবদ ১০লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করেন। মুক্তিপন না দিলে শিশু জিহানকে জীবিত ফিরে পাবেনা বলে হুমকিও প্রদান করেন তারা। তখন মুক্তিপন বাবদ ৫ লাখ টাকা রফাদফা হয়। মোবাইলে বিকাশের মাধ্যমে ১০হাজার টাকাও দেয়া হয় অপহরনকারীদের। এ ঘটনায় রাতেই জিহানের পিতা জাকির হোসেন রূপগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার দুপুরে শেরপুরের সদর থানাধীন যোগনীমোড়া এলাকায় পীর সাহেবের বাড়ী থেকে অপহৃত শিশু জিহানকে উদ্ধার করেন। এসময় এ ঘটনায় জড়িত ৪ অপহরনকারী হবিগঞ্জের মাধবপুর থানাধীন ধনকোড়া এলাকার পুরুব মিয়ার ছেলে খলিল মিয়া, বরিশালের কোতয়ালী থানাধীন বিশারাট এলাকার লতিফ মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া, শেরপুরের সদর থানাধীন যোগনীমোড়া এলাকার হেলালউদ্দিনের ছেলে জাহিদুল ও তার স্ত্রী সুমী আক্তারকে গ্রেফতার করেন পুলিশ। এব্যাপারে রূপগঞ্জ থানায় নিযমিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এব্যাপারে রূপগঞ্জ থানাল অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান বলেন, অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শিশুটিকে তার পরিববারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।