এ্যানি চন্দ্র:
সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকি শুধুই মানুষকে অস্ত্র ঠেকিয়ে বা হুমকি, ধামকি প্রদর্শন করাকেই বলে না। সন্ত্রাস বা সন্ত্রাসী কাকে বলে যদি জানতে চান তাহলে নারায়ণগঞ্জ সিটি এলাকার যে কোন রিক্সায় চড়ুন জেনে যাবেন। এরা রিক্সা চালক নয় এরা সন্ত্রাসী। মানুষকে জিম্মি করে স্বর্বশান্ত করাই এখন এদের নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদের থামানোর মত কেউ নেই নারায়ণগঞ্জে। বাঘা বাঘা রাজনীতিক শুধু নিজেদের কর্তৃত্ব জাহিড় করতে ব্যস্ত জনগণকে চুষে রিক্সাচালক সন্ত্রাসীরা যে স্বর্বশান্ত করে চলছে এনিয়ে মাথা ব্যাথা নেই জনপ্রতিনিধিদের। কারণ তাদের তো এখন ভোটের দরকার হয় না। এমন করেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন উম্মে সালমা নামক এক নারী রিক্সা যাত্রী। মন্ডলপাড়া পুল থেকে তিনি সমবায় মার্কেট এসেছেন। রিক্সাচালকের সাথে বচসা চলছে। সামনে এগুতেই দেখা গেল রিক্সা চালক তার কাছে ভাড়া দাবি করছে ৪০ টাকা। অথচ এই রাস্তার ভাড়া বড়জোড় ২০ টাকা। এর বেশি হওয়ার কথা না। ভদ্র মহিলা অনেকটা অনুনয়ের সুরে বলছেন, ভাই ২০ টাকার ভাড়া ২৫ টাকা নেন। কিন্তু ৪০ টাকা চাচ্ছেন কেন। কার কথা কে শোনে। একেবারে সন্ত্রাসী কায়দায় রিক্সাওয়ালার জবাব। শহরে কি নতুন আইছেন, ৪০ টেকা ভাড়া অইছে, দেন, দিয়া ফুটেন। ভাড়া দিতে না পারলে, রিক্সায় চলেন কে? কি আর করা অনেকক্ষন বচসা দেন দরবারের পর মহিলা ৩৫ টাকা দিয়ে এই ঝামেলা থেকে রেহাই পেলেন।
রিক্সা ভাড়া দৌড়াত্ব নতুন কিছু নয় নারায়ণগঞ্জে। বেশ কয়েক বছর আগে সিটি কর্পোরেশন থেকে একটা ভাড়া নির্ধারন করে দেয়অ হয়েছিল। তার মানেনি রিক্সা চালকেরা। এরপর সিটি কর্পোরেশন বা অন্য কোন জনপ্রতিনিধি এবিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিতে এগিয়ে আসেননি আজ পর্যন্ত। রিক্সা চালকদের এমন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সম্মুখিন হননি, নারায়ণগঞ্জে এমন কাউকে হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবেনা।
রিক্সাচালকদের এমন দৌড়াত্ব নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইসবুক ব্যবহারীকারীরা তাদের সাথে ঘটে যাওয়া দুর্ব্যবহারের বর্ণনা দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা। দিন দিন বেড়েই চলছে রিক্সাচালকদের দৌড়াত্ব যেন দেখার বা বলার কেউ নেই।
এনিয়ে গতকাল (১৬ জুলাই) নারায়ণগঞ্জস্থান নামক ফেইসবুক গ্রুপে সবুজ শেখ নামক একজন পোষ্ট করেছেন রিক্সা ভাড়ার বৃদ্ধির অত্যাচারে অতিষ্ট নারায়ণগঞ্জবাসী। তার পোষ্টে মোজাক্কের হোসেন নামক একজন কমেন্ট করেছেন, ইটস এ্যা নিউ টেরোরিস্ট, কলড রিক্সা টেরোরিস্ট।
সবুজ শেখের পোষ্টটি হুবহু দেয়া হলো নিচে-
রিকশা ভাড়ার বৃদ্ধির অত্যাচারে অতিষ্ট নারায়ণগঞ্জ বাসি! দিন হোক আর রাত! দুপুর হোক আর সকাল! রোদ হোক বৃষ্টি ! ভাড়া বৃদ্ধির অজুহাত থামার কোনো নাম নেই! যামু কিন্তু ৫/১০ টাকা বেশি লাগবো (কমন কথা)
মনে রাখবেন আমরা যারা রিকশা চড়ি তারা কিন্তু অনেক বেশি বড় লোক না। যারা ভাবচ্ছেন প্রতিদিন রিকশা ভাড়া ৫/১০ টাকা বেশী দেয়া সমস্যা না। কিন্তু ভাই বাংলাদেশের মধ্যবিত্তদের সবার ইনকাম কি মাসে আপনার মত? সবার কি সম্ভব ৫/১০টাকা (মাসে এক্সট্রা ৫০ টাকা) দেয়া? আর ভুলে গেলে চলবে না আমাদের আয়ের অংশ থেকে আমাদের খরচ করতে হয়। আবেগ আর বাস্তবতা কি এক? কিছু দিন পর পর তাদের ভাড়া বাড়ানো পদ্ধতিটা ঠিক মনে হচ্ছে আপনার কাছে? আপনার মতে দৈনদিন এমন ভোগান্তি থেকে রক্ষার উপায় কি মনে হয়?
না’গঞ্জে নব্য সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ জনগণ!