আজ বুধবার, ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২১টি মৃত গরু নিয়ে ভেসে উঠেছে ডুবে যাওয়া ট্রলার

২১টি মৃত গরু নিয়ে ভেসে

২১টি মৃত গরু নিয়ে ভেসে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

গত ১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি রোববার দুপুরে ২১টি মৃত গরু নিয়ে ভেসে উঠেছে। নিখোঁজ রয়েছে আরো তিনটি গরু। এ ঘটনায় কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে।

ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) এস এম মঞ্জুর কাদের জানান, ডুবে যাওয়া ট্রলারটি ঘটনাস্থল থেকে কয়েক শ’ গজ দূরে রোববার দুপুরে গরু সহ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা থানা পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ তা উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসে। ভেসে উঠা ট্রলারে ২১টি মৃত গরু বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়।

ক্ষতিগ্রস্থ গরু ব্যবসায়ীদের দাবি, আরো তিনটি গরু নিখোঁজ রয়েছে। তাদের এই গরুর মূল্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা। ক্ষতিগ্রস্থ গরু ব্যবসায়ীরা এ দূঘটনার জন্য দায়ী লঞ্চ এম ভি ধুলিয়া-১ এর মালিকের কাছে ক্ষতিপূরুণ দাবি করেছেন।
ওসি মঞ্জুর কাদের আরো জানান, বুড়িগঙ্গার জলসীমা কেরানীগঞ্জ থানার আওতাধীন হওয়ায় এই ঘটনার মামলাটিও কেরানীগঞ্জ থানায় দায়ের করা হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যায় ২৯ টি গরু বোঝাই টাঙ্গাইল থেকে আসা একটি ট্রলার ফতুল্লার কোরবানীর হাটে তোলার জন্য ঘাটে ভিড়ছিল। এসময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বরিশালগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এম ভি ধুলিয়া-১ ফতুল্লার টার্মিনালে ভেড়ার সময় গরুবাহী ট্রলারটিকে চাপ দিলে টার্মিনালে আগে থেকে ভিড়ে থাকা এম ভি আওলাদ-৭ এর সাথে ধাক্কা দেয়।

এসময় ট্রলারটি ডুবে যায়। রাখাল ও মাঝি-মাল্লারা রশি কেটে পাঁচটি গরু উদ্ধার করতে পারলেও ২৪টি গরু সহ ট্রলারটি বুড়িগঙ্গার গভীরে তলিয়ে যায়। এ দূর্ঘটনায় আহত হন ট্রলারে থাকা ৫জন গরু ব্যবসায়ী। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যাবিশিষ্ট হাসাপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।

ঘটনার পরপর এমভি ধুলিয়ার-১ এর মাষ্টার ফারুক হোসেনসহ লঞ্চটিকে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ আটক করলেও অপর লঞ্চ এম ভি আওলাদ-৭ দ্রুত ঘাট ছেড়ে পালিয়ে যায়।

তবে লঞ্চ মালিক ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিলে দূরপাল্লার যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে বিআইডব্লিউটিএ’র মধ্যস্থতায় রাতেই ছেড়ে দেয়া হয় আটককৃত লঞ্চ ও মাষ্টার ফারুক হোসেনকে।